ভিডিও

পিএসসির প্রশ্নফাঁস

জাহিদুলের গ্রেফতারে আনন্দিত এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৬:০৯ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৬:০৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সরকারি কর্ম-কমিশনসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায়। জাহিদুলের প্রতারণা থেকে রেহায় পায়নি তার নিজ এলাকার সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীরাও। তার আটকের খবর নিজ এলাকায় জানাজানি হলে প্রতারণার শিকার চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর ইউনিয়নের চর কোড়ালমাড়া ইয়াসিনগঞ্জ বাজার-সংলগ্ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঃ মান্নান মাস্টার বাড়ির আবদুল লতিফের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার বোন তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহিদুল সবার ছোট। ছোট বেলায় জাহিদুল ইসলাম প্রথমে লালমোহন উপজেলার রায়চাঁদ এলাকার একটি মাদরাসায় হাফেজি পড়েছেন। কিন্তু পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে হাফেজি পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি। পরে লালমোহনের ডাওয়ারী মাদরাসা থেকে দাখিল ও লালমোহন কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেন। বর্তমানে লালমোহন কামিল মাদরাসায় ফাজিল তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত জাহিদুল।

জাহিদুলের বড় বোন মায়ানুর বেগম বলেন, জাহিদুল আমার ছোট ভাই। পড়াশুনা করার জন্য দুই বছর আগে ঢাকায় পাঠাই। ঢাকায় মিরপুর এলাকায় থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি ছোট খাটো ব্যবসা কারতো শুনেছি। পরে কিছু দিন আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মধ্যেমে শুনতে পাই আমার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সাথে জড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছে।

 

এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম এলাকায় জুয়েল নামে পরিচিত। দুই বছর ধরে পরীক্ষায় পাস ও চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে। বাড়িঘরের অবস্থা নাজুক হলেও এলাকায় জাহিদুলের চলাফেরা ছিল রাজকীয়ভাবে। তার কথায় মন সহজে গলে যেত সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের। এই সুযোগে তিনি পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়া ও চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে। তার আত্মীয়-স্বজনও তার প্রতারণা হাত থেকে রেহায় পায়নি বলে জানা যায়। বিভিন্ন সময় তার ফেসবুকে আইডি থেকে চাকরি দেয়ার লোভনীয় পোস্ট করে প্রলোভন দেখাতো। তবে পাওনাদারদের ভয়ে এক বছর ধরে ঠিকমতো এলাকায় ফিরতে পারেনি জাহিদুল।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে জুয়েল চাকরি দিবে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এ+ পাইয়ে দিবে বলেও টাকা নিয়েছে। তাই তার গ্রেফতারে এলাকার অনেকেই আনন্দিত। টাকা ফেরত না পেয়ে আবুল কাশেম নামের এক ভুক্তভোগী মামলাও করেছেন জাহিদুলের নামে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, জাহিদুল এক বছর আগেও এলাকার মানুষজনকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন। চাকরি দিতে না পেরে তিনি এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। এখন আর প্রতারক জাহিদুল ইসলাম বাড়িতেও আসেন না।

জাহিদুলের প্রতারণার শিকার ভোক্তভোগী পরিবারগুলো সরকারের কাছে তাদের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS