ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে হাট-বাজারে ক্যানভাসারদের অপচিকিৎসার মরণফাঁদে মানুষ

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার হাট-বাজারে অবাধে বিচিত্র অপচিকিৎসার বাণিজ্য চলছে। বন-জঙ্গল, লতা-গুল্ম-পাতা, শিকড়-বাকল, তাবিজ-কবজ, ঝাঁড়-ফুক, সাপ-বেজি, জলজ প্রাণি ও সালসাসহ বহুবিধ পণ্যের মাধ্যমে এক শ্রেণির ক্যানভাসাররা অপচিকিৎসা দিচ্ছেন। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ এখনও ওই অপচিকিৎসায় বিশ্বাসী। এ ধরনের অপচিকিৎসায় জান-মালের অনেক ক্ষতি হলেও আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় এর প্রতিকার হচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে হাতুরে কবিরাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। চিকিৎসার নামে চলছে অপচিকিৎসা। প্রতারক চক্র কথার ফুলঝুঁড়িতে আকৃষ্ট করেন মানুষকে। রোগের প্রতিকার বলে গছিয়ে দেন ট্যাবলেট, তেল, মলম, তাবিজসহ নানা পণ্য।

বিজ্ঞানের আধুনিকতার এই যুগেও চলছে অপচিকিৎসার এমন ভয়াবহ কারবার। পশ্চাৎপদ চিন্তা, কুসংস্কার আর মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে সর্বনাশা বাণিজ্য চলছে। এ কারণে বাড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। প্রতি হাটের দিন বাজারে বসে অপচিকিৎসার পসরা। নানান কৌশলে জড়ো করেন পশ্চাৎপদ চিন্তার মানুষদের। তাদের কাছে ঠকবাজরা বিক্রি করেন অপচিকিৎসার উপাদান।

এখানে প্রতিনিয়ত ঠকছেন মানুষ। অপচিকিৎসার উপাদানের নাম দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন লতাগুল্মের নামে। এগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাছের নির্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। প্রতারকরা বাজারজাত করছেন কখনও নকল ওষুধ, কখনও ওষুধই নয় এমন উপকরণ। প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছেন তেমনি পঙ্গুত্ববরণসহ জীবন হারানোর মতো ঘটনাও ঘটছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, ফুটপাতে বিক্রি হওয়া মানহীন এসব ওষুধের কোন অনুমোদন নেই। এগুলো সেবন করলে হয়তো সাময়িক ভালো অনুভূতি হতে পারে। তবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় সেবনকারীদের জীবন ঝুঁকিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রশাসন চাইলে অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS