সহিংসতায় ৩৭ জন পুলিশ আহত
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় কোটা আন্দোলনের জের ধরে সহিংসতাকালে হামলায় ৩৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজাও রয়েছেন। গুরুতর আহত ৯ পুলিশ সদস্যকে বগুড়া পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো: স্নিগ্ধ আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের ককটেল ও ইটপাটকেলের হামলায় এসব পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, কোটা আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় আজ (২৫ জুলাই) পর্যন্ত সদর থানায় ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির খান এন্টার প্রাইজ নামে বাণিজ্যিক অফিসে হামলা ও ভাঙ্চুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। সুলতান মাহমুদ খান রনি নিজেই বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় রনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউন চলাকালে শহরের সাতমাথায় তার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙ্চুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে হামলাকারীরা। এতে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতেও র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলায় আরও ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম রাশেদ (২৫) ও চকসুত্রাপুর হাড্ডিপট্টি এলাকার ইমরান (২৫)।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দায়ের করা ১৩টি মামলায় ১০৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রায় সব আসামিই বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মী। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ৮২ জনকে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পলাতক আসামিদের ধরতে মেসে মেসে ও বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর দিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো সহিংসতার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, নাশকতা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে মামলাগুলো দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলার বাদি পুলিশ। আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ, এসি-ল্যাল্ডের অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ, পোস্ট অফিসে ভাঙচুর ও রেলওয়েতে নাশকতার ঘটনায় বাকি চারটি মামলা স্ব স্ব দপ্তর থেকে করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা আছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।