দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌর এলাকার ফটনিতলা নামক স্থানের শত বছরের বট গাছটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছটির গোড়া টাইলস দিয়ে বাঁধানো হলেও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকাটি।
উপজেলার তালোড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সরঞ্জাবাড়ী গ্রামসংলগ্ন ফটনিতলার নাগর নদীর কোল ঘেষে বাঁধের ওপর প্রায় শত বছরের বিশাল বট গাছটি দাঁড়িয়ে আছে। বিশাল আকৃতির এই বট গাছের কারণেই এলাকাটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতিও লাভ করেছে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সরজমিনে ফটনিতলা এলাকায় গিয়ে সরঞ্জাবাড়ীর মতলেব ফকির (৬৫), বিষ্মপদ সরকার (৬০) ও গোপাল চন্দ্র দাস (৫৮) সহ এলাকার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় শত বছর আগে সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের কৃষ্ণ প্রামানিকের স্ত্রী ব্রজবালা ওই জায়গায় একটি পাকুর ও একটি বট গাছের চারা লাগান। পরে দুধ দিয়ে পূজা-পর্বনও শুরু হয়।
এক সময় পাকুর গাছটি মরে গেলেও বট গাছটি বেঁচে যায় এবং তা বড় হতে থাকে। যা আজ বিশাল আকার ধারণ করে এই এলাকার মানুষের কাছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি করেছে। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা নির্জন-নিরব, মনোমুগ্ধ কর এলাকার এই বটতলায় বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমাগম ঘঠে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই বটতলায় সকল শ্রেণির মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে।
গাছটির গুরুত্ব উপলব্ধি করে তালোড়া পৌরসভা গাছটি সংরক্ষণের ব্যাবন্থা গ্রহণ করে। প্রায় তিন লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে গাছটির গোড়া টাইলস বসানোসহ গাছসংলগ্ন এলাকায় দর্শনাথীদের বসার পাকা আও দু’টি ব্রেঞ্জ নির্মাণ করা হয়।
তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর থেকে তা রক্ষণাবেক্ষণসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে গাছের গোড়ার টাইলসের পাশ দিয়ে আগাছা জন্মে বসার জায়গাগুলোও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, তালোড়ার ফটনিতলার শত বছরের পুরানো বট গাছটি এলাকার ঐতিহ্য। গাছটির কারণেই এখানে বিভিন্ন মানুষের পদচারণা ঘটে। এই গাছসংলগ্ন এলাকাটি সংরক্ষণসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করে একটি মিনিপার্ক গড়ে তোলার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।