ভিডিও

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া জিয়ানগর ইউপি মার্কেটে নাম মাত্র ভাড়া দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১২:২০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটের ১৮টি দোকান ঘরের নামমাত্র ভাড়া দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি তুলে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে দ্বি-তলা বিশিষ্ট উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ওই বছরই জিয়ানগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে নতুন ভবনে পরিষদটি স্থানান্তরসহ তার কার্যক্রম শুরু হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ জনবহুল এবং ব্যস্ততম এলাকার পুরাতন পরিষদ ভবনটি ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেট করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৮টি দোকান ঘর করে ১৮ ব্যক্তিকে দোকানগুলো মাসিক ভাড়া চুক্তিতে হস্তান্তর করা হয়। মার্কেটের দোকানে বর্তমানে মুদি দাকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান, ওষুধের দোকান, বিভিন্ন শ্যালো মেশিনের পার্টস’র দোকানসহ অন্যান্য দোকান ঘর আছে।

গতকাল রোববার জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটটির দোকান মালিকরা নামমাত্র ভাড়া দিচ্ছে। তাদের কোন চুক্তিনামা না থাকা সত্বেও মাসিক নামমাত্র সর্বোচ্চ চারশত টাকা থেকে সর্বনিম্ন তিনশত টাকা ভাড়া পরিশোধ করে আসছে, যা বর্তমান বাজারে দোকান ঘরগুলোর ভাড়া মাসিক সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার হওয়ার কথা।

অনেক দোকান মালিক আবার তাদের দখলে থাকা দোকান ঘরটি অবৈধ ভাবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় অন্য জনের কাছে বিক্রিও করছেন।  অনেকে আবার দু’টি দোকান ঘর অবৈধ ভাবে ভেঙ্গে একটি দোকান ঘর করে তা ব্যবহার করে আসছেন। তিনি এইসব অনিয়ম ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এবং নতুন ভাবে চুক্তিনামা সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

এ বিষয়ে দোকান ঘর মালিকদের পক্ষে সাবেক মেম্বার কাওছার আলী জানান, তারা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু ও আব্দুল হাকিম তালুকদারের কাছ থেকে বৈধ ভাবে চুক্তিনামা সম্পন্ন করে নিজ খরচে দোকান ঘরগুলো নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছেন।

চুক্তিনামা শর্ত মোতাবেক প্রতি মাসে নির্ধারিত ভাড়া দুইশত টাকা থেকে সর্বোচ্চ চারশত টাকা রশিদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে পরিশোধও করছেন। ঘর ভাড়া বৃদ্ধি কিংবা অন্য কোন বিষয়ে পরিষদ থেকে তাদের কোন নোটিশ প্রদান করা হয়নি। তবে ইতিপূর্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী মার্কেটটি পরিদর্শন করতে এলে তাকে চুক্তিনামা দেখিয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS