নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : চলতি আমন মৌসুমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২১ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে উফশী জাত ১৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাত রয়েছে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমি।
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উফশী জাত হেক্টর প্রতি ৩.১০ মে.টন চাল এবং হাইব্রিড জাত হেক্টর প্রতি ৩.৯ মে.টন চাল। এদিকে কৃষি দপ্তর থেকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ২হাজার কৃষককে ১ বিঘা করে জমি চাষাবাদের জন্য আধুনিক জাতের ৫ কেজি করে রোপা আমন ধান বীজ ও ১০ কেজি করে এমওপি এবং ডিএপি রাসায়নিক সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে
অপরদিকে শ্রাবণে কৃষকেরা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে।
সার বীজ সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে অনেক জমি রোপণ করতে পারছে না তারা। অবশ্য যেখানে সেচ সুবিধা রয়েছে সেখানে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে জমি রোপণ করা হচ্ছে। যেখানে সেচ সুবিধা নাই তারা এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। কোন জায়গায় সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে।
১ বিঘা জমিতে সেচ দিতে ১৮শ’ টাকা দাবি করায় এক সেচ মালিকের বিরুদ্ধে উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের খামার দেবিপুর এলাকার ২২ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাখিল করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি বিএডিসিকে (সেচ) দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন। বিএডিসি’র (সেচ) মেকানিক লুৎফর রহমান জানান অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। ১/২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে। কৃষকদের দাবি সময় মত জমি রোপণ করতে না পারলে ভালো ফলন পাওয়া থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।