রংপুর জেলা প্রতিনিধি : কারফিউ শিথিল সময়ে রংপুর মহানগর এলাকায় লোকজনের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও উন্নতি হয়েছে। উত্তপ্ত রংপুর হচ্ছে শান্ত। এছাড়াও আন্ত:জেলা দূরপাল্লার বাস চলাচলে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রংপুরের জনজীবন। তবে রেল যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
গতকাল সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি, শাপলা চত্বর, চেকপোস্ট, পার্ক মোড় ও মর্ডান মোড় ঘুরে দেখা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তাণ্ডবের ধাক্কা কাটিয়ে সেনা সদস্যদের প্রতি আস্থা রেখে খুলেছে সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও কারফিউ শিথিলতায় সড়ক মহাসড়কে চলাচল শুরু করেছে দূরপাল্লা বাসসহ ছোট-বড় সকল যানবাহন। রিকশা ও অটোরিকশায় ভরপুর নগরী। আতঙ্ক কেটে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে পথচারী, ব্যবসায়ী ও নগরবাসী।
মর্ডান মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী হাসমত জানান, ছাত্র আন্দোলনের তাণ্ডবের পর গত একসপ্তাহ ধরে দোকানপাট বন্ধ থেকে প্রায় অচল ছিলো রংপুর। সেনাবাহিনী নামার পর সেই অবস্থা একেবারে কেটে গেছে। গত তিনদিন ধরে দিনের বেলায় আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক নিয়মে করছি। শহরে এখন কোনো ঝামেলা নেই।
ঢাকাগামী আলাউদ্দিন নামের এক দূরপাল্লার যাত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ছোটখাটো একটি ব্যবসা করি আমি। ছাত্র আন্দোলনের পর গাড়ি বন্ধ থাকায় ফিরতে পারিনি। যদিও এটি স্বাভাবিক হয়েছে ৩-৪ দিন আগে। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না। এখন সাহস করে বের হয়েছি ঢাকা যাওয়ার জন্য। বাইরের পরিবেশ একেবারে শান্ত, স্বাভাবিক।
এখন আর কোনো আতঙ্ক নেই। রংপুর বিভাগের আট জেলায় সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকলেও বিভাগীয় নগরী রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল ছিলো চোখে পড়ার মতো।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, রংপুর মহানগরসহ জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কারফিউ শুরুর পর থেকে রংপুরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ছাড়াও বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। দ্রুতই সব কিছু স্বাভাবিক হবে বলে আশা করি।
রংপুর রেলওয়ে সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলি জানান, রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। কবে চালু হবে এমন নির্দেশনা আসেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।