টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে গোড়াই হাইওয়ে থানাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানার ওসিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া থানায় পুলিশের চারটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা গোড়াই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গোড়াই হাইওয়ে থানাতে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আহত তিন আন্দোলনকারীকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছি বলে অভিযোগ করেছেন গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ।
তিনি জানান, আন্দোলনকারীরা হঠাৎ গোড়াই থানায় হামলা চালায়। পরে তারা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এতে আমিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার সময় থানা পুলিশের নেতৃত্বে গোড়াই থানার ওসিসহ বাকি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মধুপুর উপজেলা শহর ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। এদিন বিকেলে দুই ঘণ্টা ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা।
এ সময় মধুপুর পৌরসভা কার্যালয়ের সকল কক্ষ ভাঙচুর, অফিসের বাইরে ও ভেতরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মধুপুর পৌরসভার চারটি গাড়ি, বিভিন্ন স্থানে ১৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মধুপুরের দমকল বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে মধুপুর পৌরসভা কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
এসব ঘটনায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।