নিউজ ডেস্ক: পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা এবং মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি, ডাকাতি, লুটের খবর পাওয়া গেছে। গত দুই দিন ৫ এবং ৬ আগস্ট রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা সহযোগিতা চেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘ডাকাতি হচ্ছে’ বলে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এরপর স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে দল বেধে রাস্তায় নেমে যান। মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং, মোহাম্মদিয়া হাউজিং, চান মিয়া হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় এই ডাকাতির আতঙ্ক ছড়ায়।
নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা ১১ জনকে আটক করে তাদের হাতে তুলে দেন। এসব ঘটনায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। ছাত্ররাও এগিয়ে এসেছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, ঢাকাসহ সারাদেশে চার শতাধিক থানায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অবস্থা বিবেচনায় থানায় বা নিজ নিজ কার্যালয়ে থাকা কেউ নিরাপদ মনে করছেন না। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আত্মগোপনে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর রোষ কাটছেই না। কয়েকটি থানা থেকে সেনা সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছেন।
দেখা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীর প্রায় সব থানা ছিল পুলিশশূন্য। পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ও গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্যই। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ভাটারা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুর, পল্টন, শাহআলী, উত্তরা পূর্ব থানাসহ বিভিন্ন থানায় সোমবার বিকেল থেকে রাতভর হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সামনে থাকা গাড়ি। থানার কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ থানা আক্রমণের শিকার হলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা একরকম অঘোষিতভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এই সুযোগে দুর্বৃত্ত ও এক শ্রেণির মানুষ চুরি, ডাকাতি ও লুট করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।