নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কার্যক্রমে সহযোগীতা করছেন সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজে যোগদান করতে শুরু করে।
শনিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
থানায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কম্পিউটার স্থাপনসহ কর্মকর্তারা থানার নিজ দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন। অচিরেই পূর্ণাঙ্গভাবে থানার কার্যক্রম শুরুসহ জনগণের সেবাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন থানায় কর্মরতরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও অফিসারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সদর থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মো. হাসান তানভীর বলেন, শুক্রবার থেকে সদর থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মানুষ এখন থেকে সেবা পাবেন। মানুষের নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজি বন্ধে যা যা দরকার আমরা করব। থানা থেকে লুটকৃত মালামাল ছাত্ররা বিভিন্নভাবে উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এ দিকে গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে নিরাপত্তার শঙ্কায় থানার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা কক্সবাজার সদর থানায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। সেই সঙ্গে থানায় অবস্থিত গাড়ি ও মালামালে ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনসহ সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন পুলিশের একটি বড় অংশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।