নিউজ ডেস্ক: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ১১টি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি আদায়ের জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা। দাবি আদায় না হলে তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের পদত্যাগের জন্য কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন এসব শিক্ষার্থী।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কাছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। আমরা হাসপাতালের ১১টা অনিয়মের সন্ধান পেয়েছি। যেমন টিকিটের অনিয়ম ও ভোগান্তি, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে অনিয়ম, রোগীদের খাবারে অনিয়ম, চিকিৎসকদের ডিউটিতে আসার অনিয়ম, চিকিৎসকদের সকাল ৮টায় আসার কথা থাকলেও বেশিরভাগ চিকিৎসক আসেন ১১টা-১২টার দিকে, হাসপাতালে নার্সদের ব্যবহার ভালো না, হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, হাসপাতাল অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নসহ আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এগুলো আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে তুলে ধরতে গিয়ে তাকে অফিসে পাইনি। পরে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ডা. হোসনে আরা রোজী, সিনিয়র কনসালটেন্ট গাইনিকে লিখিতভাবে দিয়ে এসেছি। আমরা ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য ডাক্তারদের পদত্যাগের জন্য কঠোর আন্দোলন করবো।
শরীয়তপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজ্জাদ শোভন জানান, সদর হাসপাতালে ১১টি অনিয়ম শনাক্ত করা হয়েছে। ছাত্ররা মনিটরিং করে দেখেছেন, অনেক চিকিৎসক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না এবং হাসপাতালটি অপরিষ্কার। এছাড়া টিকিট কাউন্টারে ভোগান্তির মতো সমস্যাও দেখা গেছে। এ নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলার পর অনিয়ম বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। নতুবা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।