ভিডিও

হাবিপ্রবি’র ৩২ শিক্ষকের পদত্যাগ আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া নিয়ে বিপাকে রেজিস্ট্রার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিরাজ করছে অস্থিতিশীল অবস্থা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক ৫১টি পদে থাকা শিক্ষকদের মধ্যে ৩২ জন শিক্ষক গত দুইদিনে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর আগে ভাইস চ্যান্সেলরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। ফলে ভাইস চ্যান্সেলরের পদটি শুন্য থাকার পাশাপশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বিরাজ করছে শুণ্যতা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৫ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান হাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।

পরে গত ৯ আগস্ট তিনি চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একই দিনে রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগ করেন হাবিপ্রবি’র প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর মাহবুবুর রহমান। এরপর প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেন শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, হাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৫১ জন শিক্ষক। হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন ৩২ জন।

এদিকে ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের পর অধিকাংশ প্রশাসনিক পদ থেকে শিক্ষকরা পদত্যাগ করায় এক প্রকার প্রশাসন শুন্য হয়ে পড়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হিমশিম খাচ্ছেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ সাইফুর রহমান।

এরপরও অনেক বাধা বিঘ্নের মধ্যেই সংকটময় এই মুহুর্তে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।  এ ব্যাপারে হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর সাইফুর রহমান বলেন, আমিও পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু কি করবো-এই মুহুর্তে আমি পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়টি চলবে কি করে।

এদিকে আগামী ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু হল সুপার না থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়নি হাবিপ্রবি’র আবাসিক হলগুলো।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রেজিস্ট্রার প্রফেসর সাইফুর রহমান বলেন, ৯টি হলের হল সুপার পদত্যাগ করেছেন। হল সুপার না থাকায় হলগুলো খুলে দিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য হলগুলো খুলে দেয়া হয়নি। এরপরও ১২ আগস্ট হল খুলে দেয়ার ঘোষণায় বিকেলে কিছু কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী দূরদূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে এসেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS