পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্র আবু সাঈদের পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়ি বাবনপুরে তার কবর জিয়ারত করে বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধি দল।
পরে তারা আবু সাঈদের বাবা-মা’সহ পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান এবং সমবেদনা জানান। এসময় সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণার সৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন- কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৫ সদস্যের একটি টিম।
তাদের সাথে পীরগঞ্জের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধারাও ছিলেন। পরে তারা আন্দোলনকালীন ঢাকার বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে পীরগঞ্জের অপর নিহত সোহাগ মিয়ার গ্রামের বাড়ি শানেহাটের বড় পাহাড়পুরে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পরদিন ১৭ জুলাই পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়। ১৯ জুলাই মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ হারায় প্রতিবন্ধী সোহাগ (১৭)। সে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।