নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক
বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে বগুড়ার সোনাতলার যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় নদীর তীরবর্তী লোকজনের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ফসলি জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ওই উপজেলায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
সরজমিনে আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া, মহব্বতেরপাড়া, সরলিয়া, তেকানীচুকাইনগর, পূর্ব তেকানী, ভেগিরতাইড়, মুশোরপাড়া, খাটিয়ামারী, মির্জাপুর, রাধাকান্তপুর, সুজাইতপুর, আউচারপাড়া এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সোনাতলার নামাজখালী, রংরারপাড়া, সাতবেকি, নিশ্চিন্তপুর, শ্যামপুর, হুয়াকুয়া, পারবগা, রানীরপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর শতশত একর আবাদী জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।
এ বিষয়ে তেকানীচুকাইনগর এলাকার আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, বিউটি বেগম, প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম, সালজার রহমান বেপারী বলেন, প্রকৃতির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে আমাদের টিকে থাকতে হয়। প্রতিবছর বন্যার সময় প্রায় ১৫-২০ দিন পানিবন্দি অবস্থায় ঘরে অবস্থান করতে হয় নদীকুলীয় মানুষদেরকে। এরপর আবার নদীভাঙন। এতে করে মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান একেএম লতিফুল বারী টিম বলেন, বন্যা এলেই নদীভাঙন শুরু হয়। আর নদী ভাঙনে শতশত একর আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর একপাশে ভাঙে অপর পাশে চর পড়ে। তাই এই এলাকার মানুষ চরের ফসলের উপর নির্ভরশীল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত আবাদী জমি বিভিন্নভাবে কমে যাচ্ছে। আবাদী জমিতে ঘরবাড়ি, অফিস আদালত, শিল্প কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর অব্যাহত ভাঙনে শতশত একর আবাদী জমি বিলীন হয়ে গেলে এক সময় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, বিষয়টি কেউ তাকে অবগত করেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।