ভিডিও

নওগাঁর আম বাগানগুলোতে সাথী ফসল হিসেবে মাসকলাইয়ের চাষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৮:৪৯ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৮:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় মাসকলাইয়ের চাষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার কয়েকটি উপজেলায় আম বাগান সৃজিত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে মাসকলাইয়ের চাষ বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। চলতি বছর জেলায় মোট ১ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে মাসকলাইয়ের চাষ হয়েছে।

উপজেলাভিত্তিক মাসকলাই চাষের জমির পরিমাণ হলো- নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭০ হেক্টর, রাণীনগরে ১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৫ হেক্টর, বদলগাছিতে ৩০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২০ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৪৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩০ হেক্টর, সাপাহারে ৫৮৫ হেক্টর, পোরশায় ৫৮৫ হেক্টর, মান্দায় ১০৫ হেক্টর এবং নিয়মতপুর উপজেলায় ৬০ হেক্টর। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা অনুযায়ী চাষকৃত জমি থেকে প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ২৬ মেট্রিক টন হারে জেলায় মোট মাসকলাই উৎপাদনের পরিমাণ হবে ২ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, মাসকলাই চাষে কোন সেচ কিংবা রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। কেবল বীজ ছিটিয়ে দিলেই হয়ে যায়। আমবাগানে মালচিং হিসেবে ফসল চাষ হয় বলে মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে সহযোগিতা করে। মাসকলাই পুষ্টি গুণসম্পন্ন এবং উদ্ভিদ প্রোটিনের উত্তম সোর্স। এইটা গরীবের মাংস বলে উল্লেখ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৫শ’ প্রান্তিক চাষীকে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেককে এক বিঘা জমির বিপরীতে প্রনোদনা হিসেবে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার, ৫ কেজি করে এমওপি সার এবং পরিবহন বাবদ ৫০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS