নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তর গুলিতে সাহেদ আহমদ (৩৫) নামে হত্যা মামলার পলাতক আসামি নিহত হয়েছেন।
নিহত সাহেদ আহমদ সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দেওটি গ্রামের বড় বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সাহেদ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সমর্থক ছিলেন। ২০১৪ সালে স্থানীয় মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি প্রায় ১০ বছর এলাকার বাহিরে আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের খবরে এলাকায় ফিরে আসেন সাহেদ। এরপর তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী হুমায়ন, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উল্যার বাড়ি ও তার নাতি কামরানের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। এরমধ্যে হুমায়নের দুটি পা ভেঙে দেন।
সূত্র আরো জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় সাহেদের উপর হামলা চালায়। তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, নিহত সাহেদ হত্যা মামলার আসামি ছিল। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। হত্যা মামলার পর তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। ৫ আগস্টের পর পুনরায় এলাকায় এসে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও মানুষের ওপর হামলা শুরু করে।
ওসি বখতিয়ার আরও বলেন, এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে রোববার দিবাগত রাতে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। পরে রাস্তার ওপর সাহেদের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।