হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুরে চলতি ভাদ্র মাসে উপজেলার গ্রামগঞ্জে তালের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাচীন ও গ্রাম্য প্রথা অনুসারে গ্রাম অঞ্চলের নববধূরা পুরো ভাদ্র মাসেই মা বাবার বাড়িতেই থাকেন।
মাস শেষে মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো সময় অখড়া-মুড়ি, চিড়া, দই, ফলমূলসহ বিভিন্ন পিঠা পায়েস বানিয়ে মেয়ের সাথে পাঠাতে হয়। ফলে ভাদ্র মাসের তালের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাদ্র মাসে জামাই শ^শুর বাড়িতে এলেই বাজার থেকে পাকা তাল কিনে এনে তাল দিয়ে জামাই বরণ বিভিন্ন পিঠা তৈরি করে জামাইয়ের কদর করতে হয়।
এসময় গ্রামগঞ্জে চলে তাল বড়া, তাল পিঠা, তালের ফিন্নি, তালের রুটিসহ বিভিন্ন পিঠা উৎসব। তাল একটা মৌসুমী ফল। ভাদ্র মাস ছাড়া পাকা তাল পাওয়া যায় না। কালক্রমে গ্রামগঞ্জ থেকে তালগাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই হাটে বাজারে তাল পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
কৃষক মাঝে মধ্যেই হাটে বাজারে তাল বিক্রয় করতে নিয়ে এলে প্রতিটি তাল ৫০ থেকে ৭০ টাকায় মুহূর্তের মধ্যেই চড়া দামে তা বিক্রি হয়ে যায়। তালগাছ দীর্ঘমেয়াদি বৃক্ষ হওয়ার কারণে কেউ এর চারা রোপণ করতে চায় না।
অথচ এক সময় মানুষ গ্রামের উঁচু তালগাছ দেখে দূর থেকে নিজ গ্রামের ঠিকানা খুঁজে পেত। তাই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে তালগাছ রোপণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা।
বকুয়া গ্রামের তাল বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, আমার বাড়িতে একটি তালগাছ রয়েছে। প্রতিবছর এই তালগাছ থেকে আমি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার তাল বিক্রি করি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।