ভিডিও

বগুড়ার শেরপুরে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে ক্ষমতার পালাবদলে সরকারি জলাশয় দখলে নিতে গিয়ে গ্রাম পুলিশ মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নিহতের মা মাহেলা বেগম বাদি হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় সতের জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দশ থেকে বারোজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট সকাল অনুমান নয়টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আটাইল গ্রামস্থ মোশার পুকুর এলাকায় পিটিয়ে ওই গ্রাম পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পেটানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার স্ত্রী, ভাইসহ অন্তত পাঁচজন নারী-পুরুষকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে গ্রাম পুলিশের সদস্য মিজানুর রহমানের অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০আগস্ট সকালে মারা যান তিনি।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঢেপুয়া গ্রামের ওমর ফারুক, ইউসুফ হোসেন, আব্দুস সামাদ, বেলাল হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, ইয়াকুব আলী, হাফিজুর রহমান, রেজাউল করিম, আব্দুল বারিক, জসমত আলীম, সোহরাব আলী, নাজমুল হোসেন, বিশাপুর ইউনিয়নের আরাফাতগাড়ী গ্রামের শুকুর আলী, মোমেনা বেগম, ইসমাঈল হোসেন ও পার্শ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামের স্বাধীন হোসেন, কাউসার হোসেন।

এছাড়া আরো দশ থেকে বারোজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে মোশার জলাশয়টি সরকারি হওয়ায় চলতি বছরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে দরপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে ডেকে নেয় স্থানীয় আদর্শগ্রাম সমবায় সমিতি। এরপর সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়।

বর্তমানে ওই জলাশয়টিতে সাত থেকে আট লাখ টাকার মাছ রয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর সরকারি জলায়শটি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট সকাল নয়টার দিকে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে দুইটি মিনি ট্রাকে করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পঁচিশ থেকে ত্রিশজন ক্ত ওই জলাশয়ে গিয়ে জোরপূর্বক মাছ উত্তোলন শুরু করে।

এসময় গ্রাম পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বাধা দিলে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। একপর্যায়ে তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম, ভাই সোহেল রানা বাবু, মুঞ্জুয়ারা বেগম, আলমগীর হোসেন ও সোহেল রানা এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS