চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার খলিশাগাড়ী জলমহালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক মাছ শিকার করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. এর সদস্যরা এই মাছ শিকারে নেমেছেন বলে অভিযোগ।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ জুলাই এই জলমহালের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশে বলা হয়েছে, “পক্ষগণকে বিরোধীয় বিষয়ে ৮ সপ্তাহের জন্য স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো”। কিন্তু একপক্ষ উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. এর সদস্যরা আদালতের এই নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ।
অপর মৎস্যজীবী সমিতি নটাবাড়িয়া জোলার কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. এর সদস্যরা জানান, টিএস কেস নং-৩১ ভুক্ত খলিশাগাড়ী জলমহালটি উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. চলতি বছরের জন্য ইজারা পায়। কিন্তু তাদের সমিতির সম্পাদকসহ অন্যদের মৎস্যজীবী সদস্য কার্ড না থাকাসহ নানা অনিয়মের কারণে ইজারা বাতিল করে সরকার।
পুনরায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. আদালতে আপিল করে। এ নিয়ে শুরু হয় আইনি লড়াই। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ সপ্তাহের জন্য জলমহালের ওপর স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেন।
কিন্তু উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. এর সদস্যরা এই নির্দেশনা না মেনে জলমহালে চায়না দুয়ারি জাল, কারেন্ট জাল, খেয়া জালসহ নানা উপকরণ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নটাবাড়িয়া জোলার কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।