কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ায় বিএনপি নেতা শাহ আলম সুজাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণসহ হত্যা করে গুমের অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগের সভাপতি পদত্যাগকারী সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাগ্নে রেদোয়ান মুজব সিদ্দিকী ববি, সাবেক পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ১৪ দলীয় জেটের ৮০ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা দায়ের হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা মামলাটি এফআইআর (এজাহার) হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শিবগঞ্জ থানার ওসির প্রতি আদেশ দেন।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব নাইমুল ইসলাম খান, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, উপস্থাপিকা ফারজানা রুপা, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মোঃ শরিফুল ইসলাম জিন্না ও তার ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ বিপুল ও রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রুপম, বুড়িগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল, আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক, বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, শিবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, আটমুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোকাতলা ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ, যুবলীগ নেতা মতিয়ার রহমান, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক আরমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান, যুবলীগ নেতা মমিনুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলাম, রুহুল আমীন, সোহেল রানা মিন্টু, লুৎফর রহমান রাসেল, মোশারফ, জাপা নেতা সোহাগ, মাসুদ আহমেদ, মোমিনুল ইসলাম, লিটন চৌধুরী, ইসরাফিল, ছানা মিয়া, খোকন, মোবাশে^র হোসেন স্বরাজ, জেমী, সাইফুল ইসলাম, শাজাহান কাজী, আইয়ুব আলী, বাবু ঘাটেল , পুটু মিয়া, বেলাল, হোসেন মন্ডল, আল আমিনসহ ৮০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রাম (পশ্চিম পাড়ার) মৃত আবতাব আলীর ছেলে ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আব্দুল ওহাব কর্তৃক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে, গত ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মহাবালা ব্রিজের নিকট হতে অস্ত্রের মুখে ময়দানহাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শাহ আলম সুজাকে মাইক্রোবাসযেগে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং হত্যাকরে তার লাশ নওগাঁ জেলার রানীনগর থানা এলাকায় ফেলে দেয়। পরে শাহ আলম সুজার অর্ধগলিত লাশ সেখান থেকে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।