ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে রপ্তানি হবে ইলিশ, এমন খবরে স্বস্তি মেলেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তবে তাদের আশা ছিল সাধ্যের মধ্যে আসবে সুস্বাদু এই মাছের দাম। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখা মেলে এর উল্টো চিত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম, আমদানি কমের অযুহাতে সিন্ডিকেট করে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগের সুরে বলছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষেরও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম তাই দাম বেশি। ফলে দাম শুনেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের।
সরেজমিনে পৌর শহরের মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের দোকানগুলোতে খাচায় খাচায় ইলিশ সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রকারভেদে এসব ইলিশ বিক্রি করছেন ৫শ’ টাকা থেকে ১৭শ’ টাকা। প্রতি কেজি জাটকা (২০০ গ্রাম) ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫শ’ টাকা দরে, ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করছেন ৬শ’ টাকা দরে, ৫শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করছেন ১ হাজার টাকা কেজি দরে, ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা কেজি দরে, ৮-৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ দাম হাকছেন ১৫শ’ টাকা কেজি, ৭শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩৫০-১৪শ’ টাকা কেজি দরে।
ইলিশ বিক্রেতা চান মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও মামুন বলেন, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম হলেও সাগরে মাছ ধরা পড়ছে কম, তাই চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। সে কারণে দামও বেশি। বরিশাল ও চাঁদপুর থেকে ইলিশ আসে। আমরা সীমিত লাভেই এসব মাছ বিক্রি করি। জেলেরা মাছ বেশি পেলে আমদানি বাড়বে তাতে দামও কমবে যাবে। তখন আমরাও কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারব।
শাহিনুর ইসলাম নামে ক্রেতা বলেন, গতবছর এসময় জাটকার কেজি ছিল ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। বড় ইলিশের কেজি ছিল হাজার টাকার মধ্যে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদানি কমের অযুহাতে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষের পাতে ইলিশ উঠছে না। অথচ এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে।
মৎস্য বাজারের আড়ৎদার মিয়াজান বলেন, আমাদের এখানে বাজারের বাংলা মাছের আমদানি বেশি, চাহিদার তুলনায় ইলিশের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।