ভিডিও

জমি দখলের জন্য বিএনপি নেতার মন্দির ভাঙচুর,আটক ১

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৩:২০ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৩:২০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় জমি দখল করতে গিয়ে একটি টিনশেড মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার সফিপুর (রঙ্গারটেক) বাজার এলাকায় লেবু মিয়া ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুরে অবস্থান নিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সফিপুর বাজার এলাকায় সফিপুর সর্বজনীন শ্মশানঘাট ও রাধাগোবিন্দ লোকনাথ নাটমন্দির। সেখানে লেবু মিয়া (৩৫) নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই এলাকার জমি কিনে দখল করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মন্দির থাকায় জমির দখলে বুঝে নিতে পারেননি। লেবু মিয়া নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে শুক্রবার সকালে ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে ওই জমির দখল নিতে যান। এ সময় হামলা চালিয়ে নাটমন্দির ভাঙচুর করেন তারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বের হয়ে এসে তাদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা চালালে ১০-১২ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ধাওয়া দিলে ওই বিএনপি নেতা ও তার লোকজন পালিয়ে যান। এ সময় মুরাদ হোসেন নামের এক দুর্বৃত্তকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে সফিপুর সর্বজনীন শ্মশানঘাট ও রাধাগোবিন্দ লোকনাথ নাটমন্দির কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হরিপদ সরকার বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে এখানে মন্দির আছে। মন্দিরের জায়গার একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে মন্দিরের জমি দখল করার পাঁয়তারা করে আসছেন লেবু মিয়া। বিগত সময়ে তারা দখল করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় লেবু মিয়া নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে লোকজন নিয়ে এসে মন্দিরটি ভাঙচুর করেন।

সফিপুর সর্বজনীন শ্মশানঘাট ও রাধাগোবিন্দ লোকনাথ নাটমন্দির কমিটির আহ্বায়ক কৌশিক অধিকারী বলেন, লেবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নাটমন্দির ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। এতে আমাদের ১০-১২ জন লোক আহত হন।

জমি দখলের জন্য মন্দির ভাঙচুর করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে লেবু মিয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ বলেন, মন্দির ভাঙার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে সেটা আইনগতভাবে সমাধান করা যেতো, মন্দিরে হামলা না করলেও পারতো তারা। উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে ব্যবস্থা নেবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS