ভিডিও

সহপাঠীর গল্প শুনে ড্রাগন চাষ চার লাখ টাকা বছরে আয়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৬:২২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ড্রাগন ফলের চাষ করতেন মালেক শিকদার। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় তার ফলের বাগানের গল্প শুনে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন মাজহারুল কবীর নামে তারই এক সহপাঠী। বর্তমানে মাজহারুল তার গ্রামের বাড়িতে ড্রাগন চাষ করে বছরে আয় করছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা।

মাজহারুলের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামে। তিনি ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি ড্রাগন চাষের পাশাপাশি পোলট্রি মুরগিও পালন করেন। সেখান থেকেও বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয় তার। এছাড়াও ব্লাক সোলডার ফ্লাই পোকাও চাষ শুরু করেছেন তিনি।

জানা গেছে, মাজহারুল ৪৫ শতক পরিত্যক্ত জমিতে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। চারা রোপণের ১১ মাসের মধ্যেই গাছে ফলন আসে। প্রথম দফায় ফল বিক্রি করে পান দেড় লাখ টাকা। বাগানে এখন ১ হাজার ড্রাগনগাছ রয়েছে।

যার ফল বিক্রি করে বছরে পাচ্ছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি উৎপাদন করছেন ড্রাগনের চারাও। অনেকেই বাসাবাড়িতে লাগানোর জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সেসব ড্রাগনের চারা। বর্তমানে আরও ১৬০ শতক জমিতে বাগান তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি। আশা করছেন সে বাগান থেকেও আশানুরুপ ফল পাবেন।

মাজহারুল কবীর বলেন, লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছে না ছুটে বন্ধুর অনুপ্রেরণায় ও বড় ভাই মাহবুবুল কবির মুন্নার সহযোগিতায় ২০২০ সালে নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন ড্রাগনবাগান ও পোলট্রি মুরগির খামার। বর্তমানে তাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহ পাচ্ছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS