পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের সাত দিন পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক শ্রমিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের বাথরুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সিরাজুল ইসলাম ফকির উপজেলার কৈকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের ছেলে আল-আমিন হোসেন বলেন, গত ২৪ আগস্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে কাজ শেষে ঈশ্বরদী শহরে যাওয়ার পথে আমার বাবা নিখোঁজ হয়। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে বাবার ফোন দিয়ে আমাকে একজন বলেন, ‘তোমার বাবা আমাদের কাছে আটক আছে। র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ হবে না। ১০ লাখ টাকা ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে দিতে হবে।’ পরে ২৬ আগস্ট রাতে আমি ঈশ্বরদী থানায় জিডি করি। এছাড়া বাবার ফোন নাম্বারে অসংখ্য বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। শনিবার দুপুরে জানতে পারি আমার বাবার মরদেহ রহিমপুরের শরিফুল ইসলামের বুলবুলের বাড়িতে পাওয়া গেছে।
বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল জানান, গত ২২ আগস্ট উপজেলার বড়ইচরা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী স্বস্ত্রীক আমার বাড়ির চারতলার একটি ফ্লাট ভাড়া নেন। ২৭ আগস্ট একমাসের ভাড়ার টাকা দিয়ে তারা বাড়ির বাইরে চলে যান। এরপর থেকে ফ্লাটটি তালাবদ্ধ। গত দুইদিন ধরে চারতলার এ ফ্লাট থেকে পঁচা গন্ধ বের হতে থাকলে শনিবার সকালে আমি পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানতে পারবো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।