অভি মঈনুদ্দীন : কোনো বিশেষ দিন ছাড়াই আসলে বাংলাদেশের সিনেমার রাজপুত্র-অমর নায়ক সালমান শাহ’কে মনে পড়ে তার ভক্ত দর্শকের। এটা সত্যি যে সালমান শাহ’র মৃত্যু দিবস বা জন্মদিন এলে তার ভক্ত দর্শকের তার কথা বেশি মনে পড়ে। কিন্তু তার মৃত্যুর ২৮ বছর পরও তার ভক্ত দর্শকেরা তাকে ভোলেনি। বলা যায় প্রতিদিনই তারা কোনো না কোনোভাবে তাকে বেশ শ্রদ্ধার সাথেই স্মরন করছেন, মনে করছেন।
ইউটিউব, ফেসবুকের এই যুগেও দর্শক সালমান-শাবনূর অভিনীত সিনেমায় দু’জনের অভিনয়ের রসায়নে মুগ্ধ হন। এমন অনেক দর্শক আছেন, সালমান শাহ’র কিংবা সালমান শাহ-শাবনূরের সিনেমা বহুবার দেখেছেন। বারবার দেখা সিনেমায় সালমান’কে আবারো দেখে যেন মুগ্ধ হন। আর এখানেই সালমান শাহ বাংলাদেশের অন্যান্য নায়কের চেয়ে ব্যতিক্রম।
সালমান শাহ এমন একজন নায়ক ছিলেন যাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সিনেমায় এসেছেন ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব খান’সহ পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই। তার ফ্যাশন যেমন আজও সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তার অভিনয়ও যেন এখনো প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের সিনেমার ফ্যাশন আইকন সালমান শাহ আজীবন দর্শকের মনে বেঁচে থাকবেন। তা না হলে মৃত্যুর এতো বছর পরও একজন নায়ক কীভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকে।
একজন সালমান শাহ আমাদের মাঝে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন, এটা আমরাও বিশ^াস করি। উল্লেখ্য, সালমান শাহ ও শাবনূর প্রথম জহিরুল হকের ‘তুৃমি আমার’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। এরপর তারা দু’জন ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’,‘ তোমাকে চাই’, ‘ আনন্দ অশ্রু’, ‘জীবন সংসার’,‘ সুজন সখী’,‘ বুকের ভেতর আগুন’, ‘স্বপ্নের নায়ক’,‘প্রেম পিয়াসী’, ‘মহা মিলন’ সিনেমায় অভিনয় করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।