ভিডিও

‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ নিয়ে দ্বন্দ্বে শিল্পীরা দুই ভাগ হয়ে গেছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:৫০ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:৫০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বর্তমানে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ সংগঠন নিয়ে অভিনয়শিল্পীদের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত পক্ষে-বিপক্ষে অভিনয়শিল্পীদের ক্ষোভ যেন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানের সূত্র ধরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছেন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নেতৃস্থানীয়রা।

শুধু তাই নয়, নানান ইস্যুতে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করছেন অনেক অভিনয়শিল্পী। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর নিকেতনের ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে একটি জরুরি বৈঠক করেন অভিনয়শিল্পীরা।

এ সময় ‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পী সমাজ’-এর ব্যানারে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্করের দাবি তোলেন এক দল অভিনয়শিল্পী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এহসানুর রহমান, কাজী নওশাবা আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার, খায়রুল বাসার, শ্যামল মাওলা, মনোজ প্রামাণিক, আজমেরী হক বাঁধন, এফ এস নাঈম, সুষমা সরকার, আহমেদ সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, নীলা ইস্রাফিল, মৌসুমি হামিদ, সোহেল মণ্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরানসহ ৪৭ জন অভিনয়শিল্পী।

জানা গেছে, বৈঠকে পারস্পরিক আলোচনা ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিদ্ধান্তগুলো প্রকাশ করেছেন তারা। সেখানে অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিকে দুঃখ প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

অন্যথায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে, চিঠি চালাচালির মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে বর্তমান অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতৃবৃন্দের কাছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় বৈঠকে কড়া আলটিমেটাম ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠন কর্তাদের প্রতি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর বর্তমান কমটির প্রতি ২১টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, শিগগিরই ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর সদস্যদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা হবে। সেখানে সংস্কার বিষয়েও কথা হবে। ওই সভায় সাধারণ সদস্যরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মাথা পেতে নেব। আমরা গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি।

শিল্পীদের দুই পক্ষ হওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, শিল্পীরা দুই পক্ষ হয়ে গেছে। এটি নিয়ে ভীষণ বিব্রত আমি। এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। আমি দুই পক্ষের কথাই শুনেছি। ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর নেতারা একটি বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছে। সভায় বিষয়গুলো আলোচনা হবে। প্রত্যাশা করছি, সেই মিটিংয়ের মাধ্যমে এসব সমস্যার মীমাংসা হবে। আমি সেই মীমাংসার অপেক্ষায় আছি।

ইন্তেখাব দিনার বলেন, শিল্পীদের দীর্ঘদিনের না পাওয়ার বঞ্চনা থেকেই এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সব শিল্পীকেই মর্যাদা দিতে হবে। আমাদের দাবি আদায়ে অটল থাকব।

তারিক আনাম খান বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই শিল্পীদের কাজকর্ম নেই। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে শিল্পীদের বিভাজন ভালো লাগছে না। বিভেদ-বিভাজন কখনই কাম্য নয়। আমি শুনব না, কথা না শুনলে থাকব না ভেঙে দেব— এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

অভিনেতা আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামনে কীভাবে আমরা শুরু করতে পারব, এটি ভাবার বিষয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আগে বাঁচানো দরকার। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS