সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারীনিগ্রহের একাধিক অভিযোগের কারণে ডিরেক্টর্স গিল্ড তাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিষ্ণুপুর থানায়।
এমন অবস্থায় অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। এমন অবস্থায় টলিউডের নারীসুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে তৎপর হলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই অভিনেত্রী প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তার পর থেকে জল্পনা ঘনীভূত, কী কথা হয়েছে তাদের মধ্যে? ঋতাভরী নিজেই জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোন দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল, ঋতাভরী নাকি হেমা কমিটির ধাঁচে একটি কমিশন তৈরির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও নাকি চাইছেন, তেমন একটি কমিটি তৈরি হোক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। যে কমিটি পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সর্ব স্তরের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।
ঋতাভরী লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করেছিলাম হেমা কমিটির ধাঁচে এখানেও একটা কমিটি করতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন তিনি। তবে আমি অনুরোধ করেছি, সেই কমিটি যাতে নিরপেক্ষ হয়, তার জন্য রাজনীতি ও বিনোদন জগতের লোকেরা যেন এর সদস্য না থাকেন। বিভিন্ন পেশার মহিলারা থাকুন। তারা চিকিৎসকও হতে পারেন, কিংবা আইনজীবীও হতে পারেন। যারা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ঘটে চলা মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থার তদন্ত করবেন। তার আগে যারা হেনস্থা করছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
পাশাপাশি ঋতাভরী এও স্পষ্ট করেন, এ দিনের বৈঠকে তিনি কোনও দলেও পক্ষ নিয়ে যাননি। ইন্ডাস্ট্রির একজন হিসাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।