এ বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা ছিল ‘জোকার’ সিনেমার সিক্যুয়েল টোড ফিলিপস পরিচালিত ‘জোকার: ফোলি এ ডিউক্স’। এর কারণ হচ্ছে, বছরজুড়েই প্রকাশ করা হয় সিনেমাটির বিভিন্ন ধরনের পোস্টার। যার কারণে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে প্রতিনিয়ত। গত বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ১১ মিনিট স্ট্যাডিং ওভেশন পেয়েছিল সিনেমাটি। সবাই ভেবেছিলেন হলে মুক্তি পেলে আগের কিস্তির মতো দর্শকের সাড়াও পাবে অনেক।
অবশেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় ৪ অক্টোবর। কিন্তু আকাশ সমান প্রত্যাশা জাগিয়েও বক্স অফিসে হতাশ করেছে ‘জোকার ২’।
ভেরাইটি বলছে, সপ্তাহান্তে আনুমানিক ৮১.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। এটি বিশ্বজুড়ে সিনেমাটির আয়ের হিসেব। যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ আয় করেছে মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার। যা ছবিটির প্রথম কিস্তির বিপরীতে খুবই হতাশাজনক।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স এ ছবিটি নির্মাণ করে বেশ ভালোই জটিলতায় পড়েছে। কারণ এর নির্মাণ ব্যায় ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অথচ সিনেমাটি মুক্তির তিনদিনেও ১০০ মিলিয়নের মুখ দেখতে পায়নি।
অন্যদিকে ‘জোকার’ ছবির প্রথম কিস্তিটি নির্মাণ হয়েছিল মাত্র ৬৫ মিলিয়ন ডলারে। যা বক্স অফিসে বিরাট অংক আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। অংকটা ছিল অভ্যন্তরীণভাবে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার ও আন্তর্জাতিকভাবে ৭৪৩ মিলিয়ন ডলার। ছবিটি বেশ কয়েক মাস বছরের সর্বাধিক আয় করা সিনেমার তালিকার শীর্ষেও ছিল।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের জন্য আরও বড় আক্ষেপের ব্যাপার হলো ছবিটি ভালো রিভিউ পাচ্ছে না। রটেন টমেটোতে সিনেমাটি মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে সমালোচকদের কাছে। আর দর্শকের ভোট মিলেছে ৩৯ শতাংশ। অনেকেই বলছেন, অতিরিক্ত মিউজিকের ব্যবহারই দর্শকের বিরক্তির মূল কারণ। ইন্ডিওয়্যার এর প্রতিবেদন অনুসারে, সিনেমাটিতে আছে লাভ স্টোরি, প্রিজন ড্রামা, কোর্টরুমের যুদ্ধ। কিন্তু সব থাকার পরও যেন কোথায় থেকে গেছে কমতি। মন ভরেনি দর্শকের। দর্শক ‘জোকার ২’-কে একটি ভয়ঙ্কর ‘ডি’ স্কোরের সিনেমা হিসেবে দাবি করছেন। যা অন্যান্য দর্শককে প্রভাবিত করছে। তাই সামনের দিনগুলোতে এ ছবিটির দর্শক কমে যেতে পারে বলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
‘জোকার: ফোলি এ ডিউক্স’ সিনেমায় জোয়াকিন ফিনিক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত স্ট্যান্ডআপ আর্থার ফ্লেক হিসেবে অভিনয় করেছেন। আর লেডি গাগা এতে হাজির হয়েছেন কমিকসের প্রিয় হার্লে কুইনের চরিত্রে।
জানা গেছে, ছবিটি বিশ্বের ৭৬টি দেশের ২৫ হাজার ৭৮৮টি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে ভালো সাড়া মিলেছে যুক্তরাজ্যে। সেখানে সিনেমাটি ৮ মিলিয়ন ডলার ঘরে তুলেছে। এছাড়াও জার্মানিতে ৬.৯ মিলিয়ন, ইতালিতে ৫.৬ মিলিয়ন, মেক্সিকোতে ৫.৫ মিলিয়ন এবং ফ্রান্সে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
আরও জানা গেল, আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ছবিটি চীনে মুক্তি পাবে। তার আগে জাপানের হলগুলোতেও মুক্তি দেয়া হবে ‘জোকার: ফোলি এ ডিউক্স’। ওয়ার্নার ব্রাদার্স আপাতত বুক বেঁধেছেন এশিয়ার দর্শকের ভালোবাসায় ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারবে বলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।