গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই সরব ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সময়ের সাথে সাথে বিগত সরকারের বিভিন্ন অন্যায়, নৈরাজ্যের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদ হত্যার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। এদিন আবরার ফাহাদের বাবা ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের দুটো ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে ‘কে পক্ষ, কে বিপক্ষ?’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
যেখানে ফারুকী বলেন, ‘এই যে ছবিটাতে আবরার ফাহাদের বাবাকে দেখতে পারছেন, তার চেহারার প্রত্যেকটা ভাঁজের দিকে তাকান। যে বেদনা, বিস্ময়, হতাশা দেখতে পান সেই একই হতাশা আর বেদনা হলের বারান্দায় দাঁড়ানো ছাত্রদের বডি ল্যাংগুয়েজেও দেখবেন। এই বেদনাই পরবর্তীতে ক্ষোভ হয় এই কয় বছরে। ফলে আবরার না থেকেও এই অভ্যুত্থানে ছিলেন।’
১৯৯১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ যে আর দোয়ানো যাচ্ছে না, এর কারণ হচ্ছে জনগণ দেখতে পাচ্ছে একাত্তরের আগে আইয়ুব খাঁনের পান্ডা সংগঠন এনএসএফ যে ভূমিকায় ছিল, এই সময়ে ছাত্রলীগ চলে গেছে সেই ভুমিকায়। একাত্তরের জামায়াতের ভূমিকায় চলে গেছে আওয়ামী লীগ। যে দলটা একাত্তরে ছিলো জনগণের পক্ষে, এই সময়ে এসে তাদের অবস্থান বিপরীত দিকে।’
স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে এমনটা নয়, সেটা উল্লেখ করে ফারুকী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের ঘটনাটা একটা উদাহরণ, একমাত্র না; যেটা দিয়ে আপনি বুঝবেন এককালের স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে তা না। বরং ইতিহাসের পরিহাসে স্বাধীনতার পক্ষ হয়ে যেতে পারে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। ইতিহাসের এক ট্র্যাজিডিই এটা বটে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।