বিনোদন ডেস্ক : বিটিভিতে প্রচারিত ছোটদের অনুষ্ঠান সিসিমপুরের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী রুনা খান। এরপর বহু নাটক ও চলচিত্রেও দেখা গেছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে। সন্তান জন্মের পর ওজন বেড়ে যায় তার। ওজন কমানোর মিশনে নামেন তিনি। গত বছর ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দেন অভিনেত্রী। তবে এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ওজন কমানোর পর বিভিন্ন ফটোশুট করতে শুরু করেন রুনা খান।
সংবাদমাধ্যমের নেতিবাচক কথার উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার সরব হলেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের পাঠানো শাড়ি-গয়না আর বিশেষ রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণপত্রের ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সেদিন অ্যাওয়ার্ড শোতে সাংবাদিকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পাবলিকের নেতিবাচক কমেন্ট আপনার ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কি না? উত্তর দিতে গিয়ে রুনা বলেন, ‘ভাই, আপনাদের একটা সত্যি কথা বলি, ৪০-এ এসে আমার নবজন্ম হয়েছে...! নিচে যে ছবি-ভিডিও পোস্ট করেছি, এই ছবির ভালোবাসা শুধু গত এক-দেড় মাসে আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। যারা পাঠিয়েছেন, তারা বেশির ভাগই নারী উদ্যোক্তা এবং তারা কেউই আমার পূর্বপরিচিত নন। রুনা খান আরও বলেন, ‘আমি দেশি শাড়ি ভালোবাসি বলে তারা নিজেদের তৈরি জামদানি, মসলিন, মণিপুরি, সুতি, গয়না, ব্যাগ, টিপ ভালোবেসে আমাকে পাঠিয়েছেন। একেকটা ১২ হাতের শাড়িতে যে পরিমাণ ভালোবাসা আমার জন্য জড়ানো থাকে, তা ১২ কোটি কটু মন্তব্যও ধুয়ে দিতে পারে! আবার, আজ সকালেই বাড়িতে এল দেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র। দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন স্বাধীনতা দিবস-বিজয় দিবসে সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমার বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র আসবে, এটা আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি...!’
দীর্ঘ পোস্টে রুনা খান আরও জানান, ‘উদ্যোগী মানুষেরা (নারী-পুরুষনির্বিশেষে) তাদের মেধা-শ্রম-ভালোবাসায় তৈরি পণ্য দিয়ে সাজার জন্য যে উপহারসামগ্রী আমাকে পাঠান, সেটাও আমি কর্মগুণে অর্জন করেছি...!’ এ সময় এক বছরে খুদে বার্তায় বিশ্বের নানা প্রান্তের বাঙালিদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা, মুগ্ধতা আর প্রশংসাবার্তার কথাও স্মরণ করেন অভিনেত্রী। বলেন, সেসব বার্তা দেখলে পরশ্রীকাতরদের দল মরেই যাবেন। সমালোচকদের কড়া বার্তা দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ৪১ বছরের জীবনে, শুধু আমার কর্মগুণে অর্জিত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, এত সৃজনশীল মানুষের ভালোবাসা, শান্তিপূর্ণ-প্রেমময় ব্যক্তিজীবন, এত এত প্রাপ্তির মাঝে সীমাবদ্ধ মানসিকতার পরশ্রীকাতর লোকদের (সে তিনি যেই হোন না কেন) মানহীন মন্তব্যে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। এ ছাড়া ঈর্ষা দেখে সময় নষ্ট করবার মতো সময় আমার হাতে নেই! নাক অবধি ভালোবাসায় ডুবিয়ে রেখেছে আমাকে, আমার প্রিয়জনেরা, ভালোবাসায় ডুবছি-ভাসছি, জীবনে সময় বড়ই কম, বাকি সময়টুকু কর্মে আর ভালোবাসায় কাটাতে চাই...।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।