বিনোদন ডেস্ক : সারা আলি খানের বাবা-মা দুজনেই সিনেমা জগতের মানুষ। তিনি নিজেও বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। এসবের বাইরে বরাবরই তিনি মিশুক আর সাদামাটা স্বভারের মানুষ।
তবে এর বাইরে অদেখা গল্পও আছে। যেটা সারা সামনে আনেন না। তিনি জানালেন, অন্তর্মুখী স্বভাব তার মধ্যেও আছে। কিন্তু সেটা কখনও সেভাবে প্রকাশ করেন না। এমনকি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য মাঝেমধ্যে মেডিটেশনও করতে হয় তাকে। ক’দিন পর মুক্তি পাচ্ছে সারার নতুন ছবি ‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান’। এতে এক অন্তর্মুখী স্বভাবের তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই নিউজ ১৮-কে সারা বলেন, ‘সবাই আমাকে যেমনটা ভাবে, তার চেয়ে একেবারে ব্যতিক্রম একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। অবশ্য সেটা আমার ব্যক্তিত্বেরই অংশ। কিন্তু মানুষ সেটা দেখতে পায় না। আমিও মেডিটেশন করি। তারা শুধু আমার মজা করাটাই দেখে। এই প্রথম সেই সত্তাটা সামনে আনলাম, সিনেমার সুবাদে।’
সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন ‘ভারত ছাড়’র প্রেক্ষাপটে। সত্য ঘটনা এবং দেশাত্মবোধের গল্পে কাজ করতে পেরে সারা নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। তার ভাষ্য, ‘আমি নিজের দেড়শ পারসেন্ট চেষ্টা দিয়েছি। একজন মানুষ হিসেবে ভারত ছাড় আন্দোলনের গল্পে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি উপলব্ধি করেছি যে, গোটা বিশ্ব পরিবর্তন করে ফেলতে পারবো না। কিন্তু যেটুকু আমার দ্বারা সম্ভব, সেই ছোট কাজটুকু না হয় করি। এই সময়ে মানুষ কিছুই করতে চায় না। তারা ভাবে, আমরা কী এমন করে ফেলবো! কিন্তু কিছু তো করুন। বিন্দু বিন্দু জলেই সমুদ্র হয়; এটাই আসল ব্যাপার।’
‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন কান্নন আইয়ার। এতে সারা আলি খানের সঙ্গে আরও আছেন আনন্দ তিওয়ারি, সচীন খেড়েকার, ইমরান হাশমি প্রমুখ। আগামী ২১ মার্চ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আমাজন প্রাইমে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।