বিনোদন ডেস্ক : ওপার বাংলার বরেণ্য অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। যার অভিনয় ও নাচের জাদুতে মুগ্ধ অসংখ্য অনুরাগী।
৬৯ বছর বয়সী মমতা এখনো ঐতিহ্যগত ভাবনা সযত্নে লালন করেন। পুত্র-পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিদের নিয়ে হইচই করে সময় কাটে তার। নতুন বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমাতেও দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। এসবের মাঝেই সম্প্রতি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মমতা। যেখানে বর্তমান প্রজন্মের সাজ-পোশাক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন, মেয়েদের শাড়ি পরার ধরণ নিয়ে।
মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, এখানে এভাবে বলাটা ঠিক হবে কিনা। আজকাল এমনটা হয়েছে যে, আমি শাড়ি পরব কিন্তু আঁচলটা ঠিক থাকবে না। মানে আঁচলটা সঠিক জায়গায় থাকবে না। এটা ঠিক বুঝতে পারি না। আমরা যাকে রাস্তার মেয়ে বলতাম (এ শব্দ ব্যবহার করার জন্য ক্ষমা চাইছি), যারা ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে এমন মেয়ে বলতাম, তারা এরকমভাবে দাঁড়াত। কিংবা গ্রামে কাজ করতে করতে তার হয়তো আঁচল সরে যেত, সেটা দোষের ছিল না। কিন্তু এরা মানুষকে আকর্ষিত করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, এটা তাদের পেশা, আমি তাদের শ্রদ্ধা করছি।’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আজকাল যারা বিনা কারণে ওইরকমভাবে শাড়ি পরেন, তারপর লোকে কিছু বললে রেগে যান। উল্টো বলতে থাকেন, মেয়েদের নিচু করা হচ্ছে। আমরা মেয়েরাই মেয়েদের নিচু করছি। আমি এটার বিরুদ্ধে। আমাদের শালীনতার একটা জায়গা আছে, যেখানে পুরুষ আমাদের সম্মান দেবে। পুরুষ সম্মান দেবে কোথা থেকে, যদি আমার আত্মমর্যাদা না থাকে।’
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আমরা জাজমেন্টাল। আমরা মেয়েরা প্রথম দেখাতেই একটা ইমপ্রেশন সৃষ্টি করি। কিন্তু আমরা মেয়েরা এমন ইমপ্রেশন কেন দেব? আমি হয়তো খুব ভালো মেয়ে। কিন্তু ওইভাবে পোশাকটা কেন পরব?’ নতুন প্রজন্মের মেয়েদের পোশাক নিয়ে আপত্তি থাকলেও কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না মমতা শঙ্করের। মাস কয়েক আগে নতুনদের সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমসকে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সকলের সম্পর্ক ভালো। আমি বরং মুগ্ধ হয়ে নতুনদের কাজ দেখি। নতুনরা এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করে, আমি হয়তো এত বছর পরও সেটা পারি না’।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।