অভি মঈনুদ্দীন : বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহা’র সুরে গান গেয়ে অনেক শিল্পীই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা’র যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছেন ইমন সাহা। ‘চন্দ্রগ্রহন’,‘ কুসুমকুসুম প্রেম’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’,‘ পিতা’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ এবং সর্বশেষ ‘জান্নাত’ সিনেমাতে গান করার জন্য তিনি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ইমন সাহা এবার নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘মুনল্যাণ্ড প্রোডাকশনস’-এর ব্যানারে প্রথমবার একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। সিনেমার নাম ‘সাইলেন্স’। সিনেমার গল্প রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনা ইমন সাহা’র। এই সিনেমাতেই প্রথমবারের মতো প্লে-ব্যাক করেছেন শেখ শাহরীন সুলতানা মীম, সুমন রায়, বর্ষা আঁচল। তারা তিনজনই আরটিভি’র রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন’ থেকে উঠে আসা দেশের গানের ভুবনের এই প্রজন্মের সম্ভাবনাময় শিল্পী। ইমন সাহা’র প্রথম সিনেমা ‘সাইলেন্স’-এ মীম ও সুমন দ্বৈত কন্ঠে গেয়েছেন ‘আল্লাহ বলো মনরে পাাখি’। সুমন এককভাবে গেয়েছেন ‘তোরে রাং দিলো কী সোনা দিল’ গানটি। বর্ষা আঁচল গেয়েছেন দু’টি মৌলিক গান। একটি ‘অ তে অন্তর আ’তে আল্লাহ’ ( গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার) ও ‘বন্ধুর হাসি’ (গীতিকার কবির বকুল)। দু’টো গানেরই সুর সঙ্গীত ইমন সাহা’র। উর্বানা গেয়েছেন একটি র্যাপ সং।
গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ হোসেন জেমী। বাংলার গায়েন’ থেকে বেরিয়ে আসা তিন শিল্পী মীম, সুমন ও বর্ষা’কে একই সিনেমায় তাদের জীবনের প্রথম প্লে-ব্যাক করিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে ইমন সাহা বলেন,‘ আমি বাংলার গায়েন-এর একজন বিচারক হিসেবে যখন অনুভব করতে পেরেছিলাম যে তারা তিনজনই খুউব ভালো গায়, তখনই তাদের কথা দিয়েছিলাম যে আমি আগামীতে তাদের নিয়ে কাজ করবো। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি আমার কথা রেখেছি। তারা তিনজনই ভীষণ ভালো গায়। মীম নিজেকে এরইমধ্যে লালন কন্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্ষা’র কন্ঠটা ইউনিক। এতো মিষ্টি-সুরেলা এবং চমৎকার, সহজেই অন্য আর দশজনের ভয়েজ থেকে আলাদা করা যায়। আর সুমনের কন্ঠে ভাওয়াইয়া গান এক কথায় অনবদ্য। তিনজনকে দিয়ে আমার সিনেমায় গান করিয়ে আমি একজন সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে শতভাগ তৃপ্ত। এখন তারা নিজেদের মতো করে আগামীর পথে এগিয়ে যাবে, আমার আশীর্বাদ থাকবে সবসময়।’ ইমন সাহা জানান, শিগগরিই গানগুলো ‘আরটিভি মিউজিক’-এ প্রকাশ পাবে। আগামী ঈদ উল আযহা অথবা তারপর সিনেমাটি মুক্তি পাবার চুড়ান্ত সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।