বিনোদন ডেস্ক : নিজেদের ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে থাকাকালীন হঠাৎ ২০১২ সালে সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন কারিনা কাপুর। দুজনেই বলিউডের অভিজাত পরিবারের সন্তান। অথচ তারা একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। নিজ গুণে আলাদা শিল্পীসত্তা তৈরি করেছেন কারিনা ও সাইফ।
বর্তমানে তাদের দাম্পত্যের বয়স প্রায় ১২ বছর। সাইফ-কারিনা এখন দুই সন্তানের মা-বাবা। কিন্তু একসময় কারিনাকে অনেকেই বারণ করেছিলেন সাইফকে বিয়ে করতে। যেই সময় তাদের বিয়ে হয়, তখন কারিনা ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। কারিনার আগে সাইফের বিয়ে হয় অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে। সেই পক্ষের দুই ছেলেমেয়েও রয়েছেন অভিনেতার।
এ ছাড়া মাঝেমধ্যে একাধিক প্রেমের খবরও মিলেছে তার। তবে সাইফ-কারিনার প্রেমকাহিনি ঠিক যেন রূপকথা। ২০১২ তে মিলেছিল চার হাত, ২০১৯-এও রোম্যান্সে ভাটা পড়েনি একেবারেই। শোনা যায়, সাইফের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানও করেছিলেন দুবার। সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে নানা অজানা তথ্য ফাঁস করলেন বেবো। প্রথমবার ‘তাসান’-ছবির সেটে কারিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাইফ। সেই সময় তারা ছিলেন গ্রিসে। প্রথমবার না বলেন কারিনা।
এর পর একই ভাবে লাদাখেও প্রেম নিবেদন করে বসেন সাইফ। কারিনা খুব বেশি দিন মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর একত্রবাস করেছিলেন। কিন্তু সাইফের সঙ্গে কারিনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নাকি অসন্তুষ্ট হন অনেকে। কারিনা জানান, অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন, তিনি যেন এই বিয়ে না করেন। তাতে তার ক্যারিয়ার ক্ষতি হবে। কাজ পেতে অসুবিধে হবে। কারিনা বলেন, যখন অনেকেই আমাকে এই এক কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তাদের বলেছিলাম যদি সাইফকে বিয়ে করলে প্রযোজকরা কাজ না দেন, দেবেন না। মরে তো যাব না! যদিও বিয়ের পরও একাধিক ভালো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শেষমেশ লোকে কী বলবে, না ভেবে সাইফের সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।