বিনোদন ডেস্ক : পরনে অন্তর্বাস, উন্মুক্ত শরীরে কেবল একটি চাদর কোনোরকমে জড়ানো। বুকে চেপে রেখেছেন একটি বালিশ, চুলোগুলো এলোমেলো। এ অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছেন পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। চোখেমুখে চাপা কান্নার অভিব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া স্থিরচিত্র ও ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সকে এমন অবস্থায় দেখে হতবাক তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের প্রশ্ন ব্রিটনির এ অবস্থা কীভাবে হলো? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পেজ সিক্স ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্রিটনি তার প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হোটেল থেকে এভাবে বের হন। আর গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানোর জন্য নিজের মাকে দোষারোপ করেছেন এই গায়িকা।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এ গায়িকা লেখেন, ‘আমি জানি না বিষয়টি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা। ধারণা করছি, আমি একজন নারী এবং আমার পিরিয়ড চলছে, সুতরাং আমি দুশ্চরিত্র।’ ব্রিটনির পা মচকে গিয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ব্রিটনি লেখেন, ‘গত রাতে আমার গোড়ালিতে মোচড় লেগেছিল, প্রমাণ রাখার জন্য এটি দেখাচ্ছি। এটা খুব খারাপ। বসার ঘরে বোকারমতো লাফানোর সময়ে পড়ে যাই, তারপর এটা ঘটে।’ ‘বেআইনিভাবে প্যারামেডিকদের একটি টিম আমার দরজায় আসে। এর আগে তারা কখনো আমার দরজায় আসেনি। আমি মনে করি, আমি হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমি বুস্টন যাচ্ছি।’ লেখেন ব্রিটনি।
শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটনি তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, ব্রিটনির ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গিয়েছে। এ ভিডিও’র ক্যাপশনে ব্রিটনি তার মাকে দোষারোপ করেছেন। এতে ব্রিটনি লেখেন, ‘আমি জানি, আমার মা জড়িত ছিলেন। আমি তার সঙ্গে গত ৬ মাস ধরে কথা বলি না। এ ঘটনার পর এবং খবর প্রকাশের আগে তিনি ফোন করেছিলেন। যদি আমার দাদা-দাদি থাকতেন! আমি তাকে সহ্য করতে পারি না। সত্যি বলছি, এটা বলতে আমি পরোয়া করি না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।