একমাত্র ছেলেকে নিয়েই এখন নায়িকা পরীমণির জগৎ। তবে তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে এতো বিতর্কের মাঝেও তিনি বারবারই প্রমান করেছেন,তিনি একজন চমৎকার মা। আবার কখনো "মুখোশের" মতো ভিন্নধর্মী ছবিও দর্শককে উপহার দিয়েছেন।
তবে পরীমণির জীবনে এখন কেবল একজন ছেলে সন্তানই নয়, মেয়ে সন্তানও এসেছে। নায়িকার দুইজনের সংসার তিনজনে পরিণত হয়েছে।
তবে নিজ গর্ভের সন্তান নয়। পরী এই সন্তান দত্তক নিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন এই নায়িকা নিজেই। পরীর ভাষায়, আমার মেয়ে এলো ঘরে। যার নাম রাখা হয়েছে সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।
নায়িকা বলেন, এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ৬ দিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন
জীবনে কখনোই কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি পরীমণি। নিজের জীবন চালিয়েছেন নিজের মতো করেই। সেটাও আরও একবার উল্লেখ করলেন এই নায়িকা।
পরী বলেন, জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।
এই নায়িকা আরও জানালেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।
সমাজকে আরও একবার ভুল প্রমাণ করতে চান পরীমণি। দেখাতে চান, জন্ম না দিলেও সেই সন্তানকে সঠিকভাবে লালন করে বড় করে তোলা যায়।
পরী বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি।
পরীমণির আকাশ এখন বড় হয়ে গেছে। সেটাও তার দুই সন্তানের কারণে। নায়িকার ভাষায়, এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে একদিকে ছেলে আর একদিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।