ভিডিও

ইতিহাসে অন্যতম অভিশপ্ত সিনেমা ‘দি ওমেন’!

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৬:৫৪ বিকাল
আপডেট: মে ২১, ২০২৪, ০৬:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

‘দি ওমেন’ ছবিকে ঘিরে এমন কিছু ঘটে, যার ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম অভিশপ্ত ছবি হিসেবে লাল কালিতে নাম লেখা হয় এই ছবির।
 
রিচার্ড ডোনার পরিচালিত মার্কিন-ব্রিটিশ যৌথ প্রযোজনার হরর ছবি ‘দি ওমেন’মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে।

এই ছবি দেখতে বসলে আজও থমকে যেতে হয়। নিঃশব্দে কখন আতঙ্ক গ্রাস করে দর্শককে, টের পাওয়া যায় না। এক দম্পতি আর তাদের এক শিশুপুত্রকে নিয়ে এক সুখের সংসার কীভাবে তছনছ হয়ে যায় অতিপ্রাকৃতের প্রকোপে, তা-ই ছিল এই ছবির বিষয়বস্তু।

একটা পর্যায়ে গিয়ে দম্পতি আবিস্কার করে, তাদের নিষ্পাপ-দর্শন শিশুপুত্রটি আসলে শয়তানের প্রতিরূপ। অমিত অপ্রাকৃত ক্ষমতাধর সেই শিশুকে ঘিরে শুরু হয় একের পরে এক অমঙ্গলজনক ঘটনা। ক্রমাগত ঘটতে থাকে অপমৃত্যু। শিশু দামিয়েন যে আসলে অ্যান্টিক্রাইস্ট, সেটা টের পাওয়া যায় অনেক পরে।
ছবির শেষেও দামিয়েনরূপী অ্যান্টিক্রাইস্টই শেষ হাসিটি হাসে।


একনজরে দেখা যাক, ‘দি ওমেন’-এর আনুষঙ্গিক অভিশাপগুলি:

ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই নায়ক গ্রেগরি পেক এক বিমান বিভ্রাটে পড়েন। আটলান্টিকের উপরে বজ্রবিদ্যুৎ-ঘটিত গোলযোগে থমকে যায় পেকের বিমান। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান মহানায়ক।

এর এক সপ্তাহ পরে ছবির নির্বাহী প্রযোজক মেস নিউফিল্ডও এক বিমানবিভ্রাটে পড়েন। তার কারণও বজ্রবিদ্যুৎ-ঘটিত গোলযোগ।

ছবির প্রযোজক হার্ভে বার্নহার্ড এই সময়ে ছিলেন রোমে। তিনিও বজ্রবিদ্যুৎ-ঘটিত গোলযোগে পড়েন।

ইসরায়েল যাওয়ার জন্য পেকের একটি বিশেষ বিমান ধরার কথা ছিল। কোনো কারণে তিনি ফ্লাইট বাতিল করেন। প্লেনটি ক্র্যাশ করে। যাত্রীরা কেউই জীবিত ছিলেন না।

হল্যান্ডে ছবির ডিজাইনার জন রিচার্ডসনের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রিচার্ডসনের সঙ্গিনী লিজ মুর মারা যান। লিজের শরীরের আঘাতগুলি দেখে স্তম্ভিত হন জন। ছবির একটি বিশেষ দৃশ্যে অপঘাতে মৃত এক ব্যক্তির আঘাতের যে ডিজাইন করেছিলেন তিনি, হুবহু সেই আঘাতগুলিই তাঁর সঙ্গিনীর দেহে। এখানেই শেষ নয়। দুর্ঘটনার জায়গাটাকে ভালোভাবে খেয়াল করতে গিয়ে জন দেখেন, কাছেই একটা নোটিশ। তাতে ওলন্দাজ ভাষায় লেখা রয়েছে— ‘ওমেন, ৬৬.৬ কিমি’। (ওমেন একটি ডাচ শহর। আর ৬৬৬ শয়তানের নিজস্ব সংখ্যা। এই সংখ্যাটি আবার ছবিতে বার বার দেখানো হয়েছিল।)

ছবিতে ব্যবহারের জন্যে একপাল রটওয়েলার কুকুর আনা হয়েছিল। হঠাৎই একদিন কুকুরগুলি খেপে গিয়ে তাদের ট্রেনারকে আক্রমণ করে বসে।

ছবির শ্যুটিং শুরুর কয়েকদিন আগে নায়ক গ্রেগরি পেকের ছেলে আত্মহত্যা করেন।

সূত্র: এবেলা



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS