বিনোদন ডেস্ক : ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী, মডেল রিশতা লাবণী সীমানা।
এরপর বৃন্দাবন দাসের লেখা ও সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘সাকিন সারিসুরি’ ধারাবাহিক দিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। অর্থাৎ সীমানাকে প্রথমবার সুযোগ দিয়েছিলেন নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু। সে সময়ের স্মৃতিচারণ করে সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পরই বুঝেছিলাম, সীমানা অসম্ভব মেধাবী একজন অভিনেত্রী। প্রথমে একটু সন্দিহান ছিলাম, মোশাররফ করিমের বিপরীতে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে কেমন করবে। দুই-তিন দিনের মতো গ্রুমিং হল, বেশ দ্রুত সময়ে সেসব আয়ত্ত করে ফেলল। যখন ক্যামেরা ওপেন হলো, সীমানার অভিনয়ে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এত ভালো অভিনয়! ওর সবচেয়ে বড় গুণ সততা, শুটিংয়ে কখনো ফাঁকিবাজি করেনি, সময় নষ্ট করেনি।’
সীমানার সঙ্গে সালাউদ্দিন লাভলুর শেষ কথা হয় দুই মাস আগে। লাভলুর নাটক দিয়েই ফিরতে চেয়েছিলেন সীমানা। নির্মাতাও আশ্বাস দিয়েছিলেন নতুন কাজে অবশ্যই সীমানা থাকবেন। লাভলু বলেন, ‘দুই মাস আগে আমাকে এসএমএস করে বলে লাভলু ভাই, আমি তোমার নাটক দিয়েই কামব্যাক করতে চাই। আমি তাকে বললাম, নতুন কাজ করলে অবশ্যই তুমি থাকবে। কিন্তু হঠাৎ নিউজ দেখলাম অচেতন অবস্থায় সীমানা হাসপাতালে। আর আজ ও চলেই গেল। মানুষের কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সীমানা তার কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’ ১৪ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানার মৃত্যু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে শেষ হলো এই অভিনেত্রীর জীবনের পথচলা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।