কলকাতার অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ‘আরো বেশি বেশি’ কাজ করা উচিত বলে মনে করেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী পায়েল সরকার।
আনন্দবাজার লিখেছে, শাকিবের আগামী সিনেমা ‘দরদ’ এ পার্শ্ব অভিনেত্রী হয়েছেন পায়েল।
‘শাকিবের মধ্যে নায়কোচিত সমস্ত গুণ রয়েছে’ মন্তব্য করে পায়েল বলেন, “রোগা হয়ে আগের চেয়ে আরো ঝকঝকে হয়েছেন শাকিব। দুই বাংলা মিলিয়ে এখন প্রচুর কাজ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শাকিব এদিকে বেশি কাজ করলে আখেরে লাভ হবে টালিগঞ্জের।’’
‘দরদ’ সিনেমায় শাকিবের নায়িকা হয়েছেন বলিউডের সোনাল চৌহান।
গত কয়েকবছর ধরে শাকিবের নায়িকার চরিত্রে ঢাকার চলচ্চিত্র অভিনেত্রীদের সুযোগ যেন মিলছেই না। গেল বছরের হিট সিনেমা ‘প্রিয়তমা’তে এই সুপারস্টারের নায়িকা হয়েছিলেন কলকাতার সিরিয়ালের অভিনেত্রী ইধিকা পাল।
এবার কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। মাঝে রোজার ঈদের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় শাকিবের নায়িকা হতে হলিউড থেকে উড়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। এছাড়া এর আগে কলকাতার শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও শাকিবের কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পায়।।
নির্মাতা অনন্য মামুনের পরিচালনায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার ‘দরদ’ সিনেমার গল্প সাইকো থ্রিলার ধাঁচের।
অনন্য পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমায় অর্থ লগ্নিও করেছেন। সহ প্রযোজক হিসেবে আছে কলকাতার প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজ। কয়েকদিন আগে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমার টিজার। বাংলা, হিন্দি, তামিলসহ ছয় ভাষায় মুক্তি পাবে ‘দরদ’।
শাকিবের সঙ্গে কাজ কেমন হয়েছে প্রশ্নে পায়েল বলেন, “আমরা প্রত্যেকটা শট আলোচনা করে নিয়ে কাজ করতাম। তাছাড়া পরিচালক মামুনও আমাদের কিছু ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তার বড় গুণ, খুব প্রয়োজন পড়লে তবেই বলেন। নইলে অভিনেতাদের উপরে পুরো বিষয়টি ছেড়ে দেন। তাই মজা করতে করতেই কাজ করেছি।’’
সিনেমায় পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করা পায়েল বলেন, “বরাবর এই পদটিকে শ্রদ্ধা করি। কতবার কত জায়গায় যেতে যেতে দেখেছি রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় করে তারা আমাদের নিরাপত্তার খাতিরে পথে নামেন। এবার আমি তাদের ভূমিকায়। অনেক দিন ধরেই নারী পুলিশের ভূমিকায় অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল, এবার ইচ্ছা পূরণ হয়ছে।”
নারী পুলিশকে পেশাজীবনে কীভাবে লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়, তা সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান পায়েল।
তিনি বলেন, বিষয়গুলো বুঝে নিতে শুটিং শুরুর আগে একাধিক নারী পুলিশের সঙ্গে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন।
“একাধিক নারী পুলিশ কর্মকর্তা পেশাজীবনে তাদের বঞ্চনার কথা আমাকে বলেছেন। প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময়ে দৌড়ঝাঁপ বা গর্ভকালীন সময়ে তাদের সমস্যার কথা বলেছেন। তারা ধরে নিয়েছেন, এভাবেই কাজ করতে হবে। তাই প্রত্যেকে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন।”
সিনেমায় অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য তৈরি হতে তাকে শরীরচর্চার পাশাপাশি পিস্তল ধরাও শিখতে হয়েছে বলে জানান পায়েল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।