ভিডিও

‘মুসলমান হয়ে বাঁচার অর্থ একা হয়ে যাওয়া’, লাকি আলি

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা মেহবুবের পুত্র লাকি আলি। ‘ও সনম’, ‘কিতনি হাসিন জিন্দগি’-সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের গায়ক তিনি। লাকি এখন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তবে নিয়মিত কনসার্ট করেন। সম্প্রতি বিদ্যা বালন ও প্রতীক গান্ধী অভিনীত ‘দো অউর দো প্যার’ ছবিতে ‘তু হ্যায় কঁহা’ গানটি গেয়েছিলেন লাকি।

সঙ্গীতশিল্পী সমাজমাধ্যমে সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। লাকি মনে করেন, মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ এই পৃথিবীতে খুবই ‘একা’। 

শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নিয়ে গিয়ে লেখেন, ‘আজ বিশ্বে মুসলমান হওয়া একাকিত্বের ব্যাপার। রাসূলের সুন্নাহ অনুসরণ করা একাকিত্বের বিষয়, আপনার বন্ধুরা আপনাকে ত্যাগ করবে, বিশ্ব আপনাকে সন্ত্রাসী বলবে।’ ভক্তরা লাকির টুইটের প্রসঙ্গ সম্পর্কে অবগত না থাকলেও, তারা গায়ককে আশ্বস্ত করার জন্য মন্তব্য বিভাগে বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। 

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ওস্তাদজি, ভালো মানুষ যেমন আছেন, খারাপ মানুষও আছেন। যাই হোক না কেন, আমার মতো মানুষের কাছে, আপনি একজন কিংবদন্তি এবং সর্বদা তাই থাকবেন। আর প্রত্যেক ভালো মানুষই একজন ভালো মানুষ। তা সে লাকি আলি হোক বা লাকি শর্মা, হোক তাতে কিছু যায় আসে না’।

আরেকজন লিখেছেন, 'তাতে কি কিছু এসে যায়? যদি আপনার বন্ধুরা আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, তবে তারা কখনোই আপনার বন্ধু ছিল না। আপনার কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত যে, আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আপনি আপনার চারপাশের মানুষের মানসিকতা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন, অন্যথায় সারা জীবন আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতেন।

তৃতীয়জনের মন্তব্য, 'ভুল সঙ্গ পাওয়ার চেয়ে একা থাকাই ভালো। যখন আমরা বস্তুবাদী লোকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকি, তখন শান্তি এবং আধ্যাত্মিকতা খুঁজে পাওয়া কঠিন।' 

লাকি আলি প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা মেহমুদের ছেলে। তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন এবং তিনি একজন জৈব কৃষকও। কদিন আগে এক আইএএস আধিকারিকের উপর জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। লাকি আলির অভিযোগ, শীর্ষ আধিকারিক হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি হাতিয়ে নিয়েছেন আইএএস আধিকারিক রোহিণী সিন্ধুরি। যা নিয়ে থানায় এফআইআর-ও করেন তিনি। 

লাকি জানিয়েছিলেন, ইয়েলাহাঙ্কার কাঞ্চনাহাল্লি এলাকায় অবস্থিত তাঁর চাষের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এফআইআরে নাম ছিল আইএএস অফিসার রোহিণী সিন্ধুরি, তাঁর স্বামী সুধীর রেড্ডি, দেওর মধুসূদন রেড্ডি-সহ একাধিক জনের।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS