বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১ দফা দাবি উত্থাপিত হয়েছে। সেই সূত্র ধরে আজ (৪ জুলাই) রোববার সকালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন ‘স্বাধীনতা থেকে অল্প একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমরা।’
আজ সকালে ফারুকী লিখেছেন, ‘আজ জুলাই ৩৫। স্বাধীনতা থেকে অল্প একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমরা। জোর কদম আগে বাড়ি চলো, একসাথে। তারপর থাকবে রাষ্ট্র সংস্কারের লম্বা কাজ, প্রতিষ্ঠান সংস্কারের লম্বা কাজ, যাতে আর কোনো দিন আমাদের এ রকম বন্দীদশায় পড়তে না হয়। কেউ কেউ বলছেন, এই সংস্কার করবে কারা? আপনি করবেন। আমরা, আপনারা, সবাই করবো।’
কেন রাষ্ট্র সংস্কার? কারাই বা করবেন সেটা? সে প্রসঙ্গে ফারুকী লিখেছেন, ‘সবাই জানে আমাদের সিস্টেমের সমস্যাগুলো কোথায়, ওভারহোলিং কোথায় কোথায় দরকার। এই কাজে দেশের ভেতর সিনিয়ররা তো আছেনই। তরুণদের কথাও আপনাদের একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। ওরা নতুন বিশ্বদৃষ্টি নিয়ে বড় হচ্ছে। এত বড় আন্দোলনের পর ওদের সক্ষমতা নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মিনিমাম ডাউট থাকার কথা না। ওদিকে রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন হ্যাশট্যাগও দেখছি। দেশের বাইরে পড়াশোনা করা একটা প্রজন্মও এই কাজে হাত লাগাতে চায়।’ আশাবাদী নির্মাতা শেষ করেছেন এই বলে যে, ‘অনেক তো হলো নৈরাজ্য। এবার সময় নতুন ভাবে দেশটা সাজানোর, একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরির। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হউক।’
শুরু থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অন্যান্য শিল্পীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’। গত ১ আগস্ট সকাল থেকে ফার্মগেটে অবস্থান নেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটার, গণমাধ্যমসহ দৃশ্যমাধ্যমের বিভিন্ন শাখার শিল্পী ও কর্মীরা। সেই দলে ছিলেন আরও অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা নূরুল আলম আতিক, আকরাম খান, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, ওয়াহিদ তারেক, রেদওয়ান রনি, আমিরুল রাজিব, শঙ্খ দাশগুপ্ত, হুমাইরা বিলকিস, তানিম নূর, জাহিন ফারুক আমিন, তানভীর আহসান, ইয়াছির আল হক, নাসিক আমিন, ধ্রুব হাসান প্রমুখ।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ মুক্তি পায় গত বছর। তাতে প্রথমবারের মতো অভিনয়ও করেন তিনি। ২০১৬ সালের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তার বানানো সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ দেশে সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। দীর্ঘ বিরতির পর সনি লিভ নামের একটি বিদেশি ওটিটিতে মুক্তি পায় ছবিটি, যা এ দেশের মানুষের দেখার সুযোগ ছিল না। এই নির্মাতার বানানো সিরিজ ‘৪২০’ দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে নগ্ন করে তুলে ধরেছিল। সে কারণে মাঝপথে সিরিজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।