কোটা আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া অসহযোগ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগে সাধারণ জনতার মাঝে শুরু হয় গণ-উল্লাস। সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিজয় উল্লাস করতে দলে দলে নেমে আসে দেশের সব পেশার সাধারণ মানুষ। এই বিজয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দেশের তারকারাও।
কেউ কেউ নেমে এসেছেন মাঠে। কেউ বা সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন বিজয় বার্তা। তারই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত এই তরুণ প্রজন্মকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই তরুণ প্রজন্মকে অভিনন্দন জানাই, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের বিজয় হলো, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
৫২, ’৬৯ ও ’৯০-এর মতো ’২৪ সালেও গণ-আন্দোলনেও নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা। ছাত্রদের আন্দোলন কখনোই পরাজিত হয়নি। এবারও ছাত্ররা সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ চেয়ে তিনি আরো বলেন, এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চাই যা হবে নিরপেক্ষ দুর্নীতিমুক্ত। যাদের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব।
গতকাল (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবন অভিমুখে যাত্রা ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
পদত্যাগের পর দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। ভারত থেকে তিনি ইউরোপের কোনো দেশে বা লন্ডন যেতে পারেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।