ভিডিও

সেদিন রাহুলের বাড়িতে কী ঘটেছিল, সামনে এলো যে সত্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৫:৩৪ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ১২:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা।এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

তেমন একটি ঘটনায় বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন জলের গান ব্যান্ডের গায়ক রাহুল আনন্দ। গেল ৫ আগস্ট তিন হাজারের মতো বাদ্যসহ পুড়ে যায় তার ধানমন্ডির ভাড়া বাড়ি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, পরিকল্পিতভাবে এ আগুন দেওয়া হয়।

এক সাক্ষাৎকারে রাহুল আনন্দ জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে বাড়ি কোনো মত বের হয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। এ বিষয়ে বিস্তারিত সামাজিকমাধ্যমে লেখেন রাহুল আনন্দের পারিবারিক বন্ধু ফারহানা হামিদ। লেখাটি জলের গানের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে।

যেখানে লেখা রয়েছে, রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেওয়া, লুটপাট বা ভাংচুর করা হয়নি। আগুন দেওয়া হয়েছে ৩২ এর বর্তমান বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ সেটুকুতে।

রাহুলদা একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপাশে তাদের সংসার, অন্য পাশে জলের গানের স্টুডিও (অনেকের ভিডিওতে এই বাসাটা নিয়ে ভুলভাল কথা বলতে দেখেছি আমি)। সেই বাড়িটা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল। ৩২ এর সেখানে আরো অনেক এমন বাসা আছে। রাহুলদা ও তার পরিবারের দুর্ভাগ্য এই মায়াময় বাসাটা নতুন মিউজিয়াম এর দেয়াল ঘেষে এবং সান্তুরের পিছনে ছিল, তাই তার বাসাতেও আগুন দেওয়া হয়।

রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সঙ্গে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতি এর কোন সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।

ওই পোস্টে আরো লেখা হয়, দেশের এই পরিস্থিতিতে যেকোনো গুজব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমরা সচেতন হই। একটা সংসার, একটা দলের বহুদিনের সাধনা, একজন বাচ্চার শৈশব এর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর কারও কোন কিছু পুড়ে না যাক। ভালোবাসা নেমে আসুক মানুষের মনে, আপনারা তাদের পাশে থাকলে আবার জলের গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাইবো- “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি। ”

এছাড়াও ওই পোস্টে অনুরোধ করা হয়েছে- কারও কাছে জলের গানের কোনও বাদ্যযন্ত্র থাকলে যেন ফেরত দেওয়া হয়। লেখা হয়েছে- জলের গানের প্রতিটা বাদ্যযন্ত্র দীর্ঘ সময় নিয়ে হাতে বানানো এবং প্রায় সকলের চেনা। কোথাও কেউ কোন কারণে খুঁজে পেলে তা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS