‘বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ করা যাচ্ছে না’ জানিয়ে বেশ চটেছেন অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। সামাজিকমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার তথা সমন্বয়কদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনিই প্রথম প্রকাশ্য সমালোচনা করেন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই হলো, কিন্তু প্রয়োগ করা এখনও যাচ্ছে না।
সেই সঙ্গে বলেছেন, আমি ভাই অনলাইনে শো অফ করে আন্দোলন করি নাই। রাস্তায় অনেক আগে থেকেই ছিলাম। আমি অতো বড় কেউ না, তাই অতো বেশি কভারেজ পাই নাই।
অন্যায়কে অন্যায় বলেছি এবং বলছি জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে বলেছি এখনও বলছি, ‘সমালোচনা করলেই সে ঐ দলের লোক বা সেই দলের লোক, দালাল, চামচা- এসব বলা বন্ধ করতে হবে’। ১৬ বছর বলিনাই কথা, এটা আমাদের বড় ভুল। আজকে থেকে এ ভুল শুধরাতে চাই। গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনা শিখতে এবং করতে চাই।
তার এমন মন্তব্যে কেউ কেউ সমালোচনা করলে একটি সংবাদ মাধ্যমকে টয়া বলেন, আগে ভিন্নমতের মানুষকে দমন করার একটা মানসিকতা দেখেছি, যা থেকে আমরা মুক্ত হতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি। এখনও সমালোচনা করলে পোস্টের নিচে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এজন্যই স্ট্যাটাসটি দেওয়া।
তার ভাষায়, সমস্যার কথা শুরুতেই বলতে হবে। কারণ, ভুল শোধরানোর এখনই সময়। তাই প্রথম দিন থেকেই বলার মানসিকতা থাকতে হবে। অনেকেই বলছেন, আপনারা ১০ দিন, ১৫ দিনও সময় দিচ্ছেন না, অথচ ১৫ বছর ধরে ওদের (আওয়ামী লীগ) সহ্য করছেন, দালালি করেছেন! ওদের পক্ষে ছিলেন। আমার কথা হলো, এটা আসলে ১০ কিংবা ১৫ দিনের ব্যাপার নয়, আমাদের মধ্যে যে হিংসাত্মক মনোভাব এখনও আছে, ওটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। আমার কথা হচ্ছে, আমি যা লিখছি, সেটা তোমাদের কাজের মাধ্যমে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করো। উল্টো গালি দিতে পারো না, দালাল বলতে পারো না। যেটা তোমরা করে যাচ্ছ নিয়মিত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।