ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ছেন না কাঁটাতারের ওপারের জনসাধারণ। সেখানে সমানতালে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিনোদন মহলের ব্যক্তিত্বরাও।
কিন্তু এমন ঘটনার পরও ভারতজুড়ে যেন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের মত ঘটনা। তার প্রমাণ সম্প্রতি আসাম, বদলাপুর থেকে বিহারের ঘটনা।
বলা যায় প্রায় প্রত্যেক তারকা-শিল্পীরাই কঠোরভাবে এ সকল ন্যাক্কারজনক কাণ্ডের বিচারের আশায় বদ্ধ পরিকর। এমতাবস্থায় ধর্ষকদের জন্য আবারও ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’-এর দাবি জানালেন টালিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। এ সময় নারীদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে আওয়াজ তোলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘এক রাতে যদি নোটবন্দি হতে পারে, এক রাতে যদি লকডাউন ঘোষণা করা যায়, তাহলে এক রাতে ধর্ষকদের শাস্তি নয় কেন?’
গত রোববার আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সিনেপাড়ার সতীর্থদের সঙ্গে কলকাতার পথে নেমেছিলেন শুভশ্রী। সেই মিছিলে হেঁটেছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। যদিও তারকা বিধায়ক হওয়ায় প্রতিবাদী মিছিলে হেঁটে নেটপাড়ার একাংশের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজ-শুভশ্রী নয়, শিল্পীদের অনেকেই ট্রোল-মিমের শিকার নেটিজেনদের হাতে। সেই আবহে নিন্দুক-সমালোচক থেকে সমাজ, সকলকে একযোগে বিঁধে একটি কবিতাও লিখেছিলেন অভিনেত্রী।
কড়া ভাষাতেই সমাজের মন-মানসিকতা বদলানোর কথা বলছেন শুভশ্রী। স্বরচিত কবিতা লিখে মেয়েদের ধর্ষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছেন। যেখানে শুভশ্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সংস্কার ধরে রাখার দায়িত্ব কী শুধু আমাদের? তাহলে ওরা কী করবে?’ তার হুঁশিয়ারি, ‘অনেক হয়েছে নোংরামি আর পাপ, তাও নেই কোনও অনুতাপ। আমরা নাকি 'পতিতা' আর 'নষ্টা'! দেখ তাহলে এই নষ্টারাই এবার গড়বে দুনিয়া, যেখানে বাপকেও ছাড়ে না পাপ!’
এদিকে শুভশ্রীর এমন পোস্টের পর রাজ চক্রবর্তীর সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ ছোড়ে নেটিজেনরা। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাহলে কি শাসক দল ছাড়ছেন তিনি?’ যদিও সেসব কটাক্ষের কোনও উত্তর দেননি শুভশ্রী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।