সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় দেশের খ্যাতিমান লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। শুধু তাই নয়, ইউটিউব চ্যানেলেও নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। বলা যায়, এই বিকল্প মাধ্যমেই এখন সবচেয়ে বেশি সময় কাটে তার। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে বিরক্ত কুদ্দুস বয়াতি সেখানেই দিলেন একটি পরামর্শ। প্রস্তাব করলেন শাহবাগের নতুন নাম।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি রেখেছেন কুদ্দুস বয়াতির। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হওয়ায় বিরক্ত তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (২৬ আগস্ট) রিকশাচালকদের দুটি দলকে দাবি নিয়ে জড়ো হতে দেখা গেছে শাহবাগে। এই সংবাদ দেখে কুদ্দুস বয়াতি ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শাহবাগের নাম পাল্টে মামাবাড়ির আবদারবাগ রাখা হোক।’ তার এই পোস্ট পছন্দ করেছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। এমডি স্বপন লিখেছেন, ‘ওয়াও, অসাধারণ। সুন্দর। ভালো কথা কইছেন।’ এনামুল হক বকুল লিখেছেন, ‘এত সুন্দর কথা কইলেন কেমনে।’
সত্যিই কি তিনি এমন পোস্ট দিয়েছেন? জানতে চাইলে কুদ্দুস বয়াতি বলেন, ‘দিয়েছি। কয়েক আগে নতুন সরকার এসছে। এ সরকার এখনো ঠিকমতো বইতে পারছে না। এর মধ্যেই সবাই সবার দাবি-দাবি দাওয়া নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করছে, শাহবাগে আন্দোলন করছে। এটা কোনো যুক্তির কথা না। তাই আমি বলেছি “শাহবাগের নাম পাল্টে মামাবাড়ির আবদারবাগ রাখা হোক।” এই সময়ে এমন আবদার আমার কাছে মামার বাড়ির আবদারের মতো মনে হয়েছে।’
কুদ্দুস বয়াতি আরও বলেন, ‘নতুন সরকারকে কমপক্ষে দুই-চার বছর সময় দিতে হবে, ভালো করে বসার জন্য। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত শত দাবি নিয়ে আসা মঙ্গলজনক নয়। এ জন্যই আমি এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছি।’
লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতী শৈশব থেকেই গান-বাজনার অনুরাগী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ান বাদশা, কাঞ্চন বাদশা, হাতেমতাইসহ অনেক ধরনের পালাগানের আসর মাতান। তবে ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘এই দিন দিন না আরও দিন আছে’ শিরোনামে গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান কুদ্দুস বয়াতি। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গানটি গেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর পিছে তাকাতে হয়নি কুদ্দুস বয়াতিকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়েও দেশবাসীকে সচেতন করতে কাজ করেছেন কুদ্দুস বয়াতি। ‘জাইনা চলেন, মাইনা চলেন’ শিরোনামে গানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করছেন এ লোকসংগীতশিল্পী। তিনি বিশ্বের অনেক দেশে গান গেয়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।