ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বন্যাদুর্গতদের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা। তারপর মনে হয়েছে, দায়িত্ব শেষ হয়নি। ত্রাণ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে তিনি পৌঁছে গেছেন নোয়াখালির বেগমগঞ্জে। বানের জলে নেমে যা দেখেছেন, তাতে কান্না ধরে রাখতে পারেননি এই অভিনেত্রী।
গতকাল বেগমগঞ্জে ছিলেন আইরিন। পাঁচজনের একটি দল নিয়ে তারা রওনা হয়েছিলেন বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ভরা ছোট্ট একটা পিকআপ ট্রাকে। ট্রাক থেকে ত্রাণের ব্যাগগুলো তারা তুলেছিলেন নৌকায়। বন্যায় ডুবে যাওয়া বাড়িগুলোতে নৌকা ভিড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছেন তারা। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে আইরিন বলেন, ‘আমরা শ দুয়েক বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে পেরেছি। প্রথমে পিকআপ ট্রাকে করে বেগমগঞ্জে, তারপর নৌকায় করে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি।’
নিজ চোখে বন্যাদুর্গতদের কষ্ট দেখে সহ্য করতে পারেননি আইরিন। তিনি বলেন, ‘দুর্গতদের চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। তাদের অবর্ণনীয় কষ্টও সহ্য করতে পারছিলাম না। দেখি, আরও কীভাবে তাদের সাহায্য পাঠানো যায়।’ ছোট ছোট গল্প ভাগাভাগি করতে গিয়ে আইরিন বলেন, ‘একটা বাড়িতে গিয়ে দেখি, দুজন বৃদ্ধ পানির ভেতর রয়ে গেছেন। আশপাশে কেউ নেই। তারা সেখান থেকে যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা খুঁজে পাননি। তাদের অবস্থা দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। বন্যাদুর্গতরা দিনের পর দিন পানির ভেতর কাটাতে পারলে, আমরা দুই একটা দিন একটু কষ্ট করে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পারব না?’
ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে সাধারণ মানুষ কি তাকে চিনতে পেরেছিল? জানতে চাইলে আইরিন বলেন, ‘একটা জায়গায় গিয়ে দেখি মানুষের জন্য খাবার রান্না হচ্ছে। অনেকেই চিনতে পেরেছিল। সবাই তো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ব্যস্ত। তারা জানে না কবে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। আমাদের সবার উচিত এই দুর্গত মানুষগুলোর সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া।’
২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় আইরিনের। এরপর বড় পর্দার বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। আইরিন অভিনীত কয়েকটি সিনেমা আছে মুক্তির অপেক্ষায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।