বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে মুছে যায় দেশের ১৫ বছরের দুঃশাসন। বিদায় হন স্বৈরাচার তকমা প্রাপ্ত সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনা; ঘটে দেশের ইতিহাসে এক মহা বিপ্লবের। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে বিনিময়ে শহীদ হন অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
মূলত দেশের এত বড় পট পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদানটি এখনকার প্রজন্মের ছাত্রদের। তাদেরকে বলা হয় ‘জেনারেশন জি’ বা ‘জেন-জি’। যেই জেনারেশন একটা সময় ‘রাজনীতি‘ শব্দটিই ঘৃণার চোখে দেখত, আজ সেই জেনারশনের মাঝেই দেখা যাচ্ছে শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা। পরিবর্তন এসেছে তাদের ভাবনার জায়গাগুলোতে। অন্যদিকে, দেশ-বিদেশের সাধারণ মানুষও বাংলাদেশের ‘জেন-জি’দের ওপর বিস্মিত ও মুগ্ধ না হয়ে পারছেন না। সকলের মাঝেই তাদের কাজগুলো নিয়ে চলছে প্রশংসা, আলোচনা-সমালোচনা।
এসব কিছু মাথায় রেখে ‘জেনারেশন-জি’ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের কথা ভাবছেন নির্মাতা ও পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেন-জি আমি কে? তুমি কে?’ নাটকটির রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধারাবাহিকটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে নির্মাতাসূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
জানা গেছে, ‘জেন-জি আমি কে? তুমি কে?’ নাটকটি হবে পলিটিক্যাল স্যাটায়ারধর্মী ধারাবাহিক। মজার মজার স্যাটায়ারের মাধ্যমে রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র দেখানো হবে নাটকটিতে। উঠে আসবে জেনারেশনের সঙ্গে জেনারেশনের ভাবনা ও মতের পার্থক্য। পরিবারের বাবার স্বৈরাচারী মনোভাবের দেয়াল ভাঙবে আমাদের জেন জি'রা। এ দেয়াল ভাঙা ও অচলায়তন থেকে পুরো পরিবারকে নতুন প্রজন্ম কিভাবে বের করে আনে, এ বিষয়গুলো এ ধারাবাহিকে উঠে আসবে। হাস্যরসের মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ বার্তা দেবে এ ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করছে ক্রিয়েটিভ ল্যাব প্রডাকশন হাউস থেকে। শিঘ্রই কোনো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ধারাবাহিকটি প্রচারিত হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।