ভিডিও

মাসিক আয় কয়েক লাখ টাকা গৃহবধূ থেকে  ফ্রিল্যান্সার প্রিয়াঙ্কা

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৪:৪৭ দুপুর
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৪:৪৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ পড়াশোনা ও সংসারের ফাঁকে ফ্রিল্যান্সিং করে যে একজন সফল উদ্দ্যোক্তা হওয়া যায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নড়াইলের প্রিয়াঙ্কা গাইন। প্রতি মাসে এখন তার আয় প্রায় ৮ লাখ টাকা। নিজের আয়ের অর্থ দিয়ে কিনেছেন শখের গাড়ি। জমি কিনে সেখানে করছেন বাড়ি। স্বামীর কাছ থেকে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নড়াইল পৌরসভার আলাদাতপুর এলাকার এই গৃহবধূ। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে অবদান রাখায় পেয়েছেন একাধিক অ্যাওয়ার্ড।

প্রিয়াঙ্কা গাইনের স্বামী মোহন কুন্ডু আগে থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতেন। তবে এ কাজে তেমন আগ্রহ ছিলো না তার। কিন্তু স্বামীর অনুপ্রেরণায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী হন প্রিয়াঙ্কা। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের দিকে স্বামীর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। সে সময় পরিবারের নানা কাজ সামলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সময় বের করা ছিল ভীষণ কঠিন, তবে হাল ছাড়েননি। স্বামী নিজেই তার প্রশিক্ষক হওয়ায় এবং পরিবারের সকলের সহযোগিতা থাকায় এগিয়ে যেতে থাকেন। তার ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৭ ডলারের একটি কাজ দিয়ে। এখন তিনি প্রতি মাসে আয় করছেন প্রায় আট লাখ টাকা। যদিও কোন মাসে কম আবার কোন মাসে বেশিও আয় করেন।

প্রিয়াঙ্কা জানান, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং থেকে তার মোট আয়ের পরিমাণ তিন কোটির কাছাকাছি। নিজের আয় দিয়ে ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কিনেছেন একটি শখের গাড়ি। জমি কিনে সেখানে তৈরি করছেন বাড়ি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অবদান রাখায় ‘টপউইমেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ‘ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’, খুলনা বিভাগ থেকে ‘টপউইমেন ফ্রিল্যান্সার’ অ্যাওয়ার্ড ও নড়াইল জেলার সেরা নারী ফ্রিল্যান্সার সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে নিজ জেলার ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তার।

স্ত্রীর এমন সাফল্যে গর্বিত প্রিয়াঙ্কার স্বামী মোহন কুন্ডু। মোহন কুন্ডু ২০১১ সালে ফুফাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে এই পেশায় আসেন। তখন থেকে প্রিয়াঙ্কাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে উদ্বুদ্ধ করেন। কাজ শেখাতে থাকেন। পরে আস্তে আস্তে ইনকাম করতে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা। আর স্ত্রীর পাশে থেকে সবসময় সাহায্য করেন তিনি। শুধু তিনি নন, বাসার সকলেই সাহায্য ও সমর্থন করেন প্রিয়াঙ্কাকে।
 
প্রিয়াঙ্কার শ্বশুর-শাশুড়ি জানান, এই কাজে কোনো পরিবারেরই আপত্তি করা উচিত না। কারণ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভূমিকাটা অনেক বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজে শুরু থেকেইে তাদের সমর্থন রয়েছে। 
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি প্রসেনজিৎ কুন্ডু জানান, প্রিয়াঙ্কা গাইনের সফলতা দেখে আরো অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী হবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে নারীরা যে এখন ঘরে বসে অর্থ আয় করতে পারে তারই অনন্য উদাহরণ প্রিয়াঙ্কা।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS