ভিডিও

কখনো ভাবিনি দেশ সেরা হবো!

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা পদক পেলেন পীরগাছার রেহেনা

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:৩৭ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৮:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

এম খোরশেদ আলম, পীরগাছা (রংপুর) থেকে ঃ প্রাথমিক শিক্ষাকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়, আমরা যদি প্রাথমিক স্তরটা মজবুত ও টেকসই হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে সুন্দর দেশ ও জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। আমি কখনো ভাবিনি দেশ সেরা হবো, আমার এ পদক প্রাপ্তিতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করায় আজ আমার এই অর্জন।

এই কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করা প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রেহেনা বেগম। গত ২৭ জুন ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাপদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তার হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এর শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত তিনি।

মোছা. রেহেনা বেগম রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পবিত্রঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। তার এ সাফল্যে পীরগাছা উপজেলার শিক্ষক সমাজে প্রশংসিত। 

প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রেহেনা বেগম ১৯৮০ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সুখানপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আজাহার আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে রেহেনা বেগম সবার ছোট। তিনি ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার স্বামী ও নয় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রেহেনা বেগম বলেন, আমার সফলতার বীজ নগরজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পিছিয়ে পড়া বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষাপদক  ২০২২ উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪ জনই ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। আমি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলামের উপর গুরুত্ব আরোপ করি, যা তাদের সার্বিক বিকাশে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করে। আমি স্কুলের বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মত মনে করি। স্কুলের বাচ্চাদের ঝরে পড়া রোধ, পড়াশোনায় মনোযোগী করা, সৃজনশীল কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধকরণ, নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষাসহ নানাবিধ কর্মকান্ডে আমি নিজেকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করেছিলাম। যার স্বীকৃতি স্বরুপ আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পেয়েছি। বর্তমানে আমি পবিত্রঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি।

এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রেহেনা বেগম জাতীয়  

পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পাওয়ায় আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার তার অসামান্য অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, মোছা. রেহেনা বেগম জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গর্বের। তিনি পীরগাছাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পীরগাছার সকল শিক্ষকবৃন্দ আরও ভালো শিক্ষক হিসেবে নিজেদেরকে আবির্ভূত করবেন সেই প্রত্যাশা করছি। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS